স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও আমরা শোষণমুক্ত হতে পারি নি : কাইয়ুম চৌধুরী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:০১:২১ অপরাহ্ন
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ সেই ভয়াবহ কাল রাতে পাক হানাদার বাহিনী এদেশের নিরীহ ঘুমন্ত মানুষের উপর বর্বর আক্রমণ চালিয়ে নির্মম গণহত্যা চালানোর পর যখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ব্যার্থ হয়েছিল তখন কিংকর্তব্যবিমুঢ় জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে ২৬ মার্চ তৎকালীণ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি শুধু ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেন নি, তিনি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে পাকিস্তানী শোষকদের কবল থেকে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও আমরা শোষকদের কবল থেকে মুক্ত হতে পারি নি। দেশে আজ গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেই, ২০১৪ সাল থেকে দেশে কোন নির্বাচিত সরকার নেই। সর্বোপরি দেশে এখন পাকিস্তানের চেয়েও ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে। মানুষ এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়।
শুক্রবার সকালে নগরীর একটি হোটেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলেচনা সভার শুরতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহেদ আহমদ। এর আগে সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিলেট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পর আবারও আমাদের গণতন্ত্রের পথচলাকে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে, জনগণের মৌলিক ও মানবিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। ১৯৭১-এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত আজও বিদ্যমান। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে আমাদেরকে একটি পরাধীন জাতিতে পরিণত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে সরকার। বীর মুক্তিযুদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সকলে সম্মিলিত ভাবে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হবে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, হাজী শাহাব উদ্দিন আহমদ, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মামুনুর রশিদ মামুন, এডভোকেট হাসান পাঠোয়ারী রিপন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, কোহিনুর আহমদ, আলী আকবর, জসিম উদ্দিন, আজিজুর রহমান, মাহবুবুল হক চৌধুরী, সালেহা কবীর শেপী, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, ময়নুল হক, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, তোফাজ্জল হোসেন বেলাল, আহাদ চৌধুরী শামীম, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট কামাল হোসেন, এডভোকেট জোহরা জেসমিন, শাকিল মুর্শেদ, লোকমান আহমদ, আব্দুল মতিন, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, আব্দুল মালেক, বাদশাহ আহমদ, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, মনিরুল ইসলাম তোরন, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, জালাল আহমদ খান, রফিকুল ইসলাম, আক্তার হোসেন রাজু, শামীম হেলালী, ফরিদ উদ্দিন, জয়নাল আহমদ রানু, জাহেদ আহমদ, আকবর আলী, এডভোকেট তাজরিহান জামান, অর্জুন ঘোষ, মাসুম ইবনে রাজ্জাক রাসেল, সাহিন আলম জয়, কামরুজ্জামান দিপু, আব্দুল্লাহ আল সফি সাহেদ, জি এম বাপ্পি, সুমেল আহমদ চৌধুরী, মাশরুর রাসেল,ঈমাম উদ্দিন, কুমকুম ফাহিমা, মাসুক এলাহী, নাজিম উদ্দিন, সুলেমান সিদ্দিকী, শামিম আহমদ, মুকুল আহমদ, আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, আবুল কাশেম, আব্দুল মজিদ, আমির হোসেন, হাজি পাবেল, আল মামুন, রায়হানুল হক, আমিনুর রহমান চৌধুরী, নুরুল আমিন দুলু, সাইদুল ইসলাম, মুকিত তুহিন, আল ইসলাম, মইনুল ইসলাম মঞ্জু, আজহার অনিক, আমির হোসেন, শাহ বদরুল আলম, নুর আলম, আব্দুল মন্নান, শামিম আহমদ , আফজল হোসেন, আজমল হোসেন অপু, কামরুল ইসলাম, সাহেদ আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি