টিকার ৪র্থ ডোজ সিলেটে দিলেন মাত্র ২৪ জন
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:১০:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশের ন্যয় সিলেটেও শুরু হয়েছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এক যুগে নগরীর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনস্থ কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১ম দিনে নগরীতে করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দিয়েছেন মাত্র ২৪ জন। এদের মধ্যে ওসমানীতে ২০ ও নগর ভবনে ৪ জন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, ১ম দিনে নগরীর দুটি কেন্দ্রে মাত্র ২৪ জন ৪র্থ ডোজের টিকা নিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অন্যান্য ব্যস্ততা ও বিভিন্ন কারণে ৪র্থ ডোজ নিয়ে তেমন প্রচারণা চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়া ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারী ও বড়দিনের ছুটি রয়েছে। এই ছুটির পর আমরা ৪র্থ ডোজের জন্য প্রচারণায় নামবো। তখন টিকাগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে একই সময়ে সারাদেশে সিটি করপোরেশন, মেডিকেল কলেজ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে একযোগে ৪র্থ ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল ৯ টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমেদুল কবির ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
চতুর্থ ডোজ ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশের স্থায়ী টিকা কেন্দ্রগুলোতে এই কার্যক্রম চলবে। করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব নানা জটিল রোগে আক্রান্ত এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এ টিকা পাবেন।
৩য় ডোজ নেওয়ার ৪ মাস পর নেওয়া যাবে ৪র্থ ডোজ। ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি যারা ইতোমধ্যে তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন, তাদের এই কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হবে।
ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে আছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মী ও এর সহযোগী সংস্থা এবং অনুমোদিত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সব কর্মচারী, আইন প্রয়োগকারী ও সামরিক কর্মী, সাংবাদিক, ব্যাংক কর্মচারী, জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং ফ্রন্টলাইনে কাজ করা অন্যরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, দেশের প্রতিটি কেন্দ্রে অন্যান্য ডোজ টিকার সঙ্গে চতুর্থ ডোজ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
করোনা প্রতিরোধে দেশে প্রথম করোনা টিকার প্রয়োগ শুরু হয় ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি। সেই বছরের এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। চলতি বছরের ১৯ জুলাই বুস্টার ডোজের প্রয়োগ শুরু হয়।
এখন পর্যন্ত ১৪ কোটির বেশি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ, সাড়ে ১২ কোটি দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৬ কোটিরও বেশি মানুষ।