সীমানাপ্রাচীর নিয়ে দ্বন্দ্বে সত্তরোর্ধ্ব দাদিকে পেটালো নাতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ৯:১৪:১২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জেরে সত্তরোর্ধ্ব দাদিকে বেধড়ক পেটালো নাতি। এ ঘটনার ভিডিও চিত্রি ধারণ করে উল্টো শাসালেন পুত্রবধূ (ওই যুবকের মা)। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার উত্তর লস্করপুর এলাকায়।
এ ঘটনায় নাতি আব্দুস সামাদসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধ লায়লী বেগম। তিনি ওই এলাকার সুলতান মিয়ার স্ত্রী। সামাদ এমসি কলেজে অর্থনীতি বিভাগে অনার্সে পড়াশোনা করছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেয়ে আদালতে প্রসিকিউশনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আদালতের অনুমতি পেয়ে অভিযোগটি মামলায় এজাহারভুক্ত করা হবে।
ভিডিও চিত্র ও থানায় অভিযোগে জানা গেছে, লায়লী বেগমের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। বড় ছেলে জয়নাল মিয়া কয়েক বছর আগে মায়ের নামে থাকা সম্পত্তি সমান অংশে ভাগ-বাটোয়ারা করার কৌশলে ৫ দশমিক ৪১ শতক জমি নিজের নামে লিখে নেন। পরে মায়ের দেখভাল না করে জয়নালের স্ত্রী আমিনা বেগম বৃদ্ধাকে তাঁর মেয়েদের ঘরে দিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস হয়।
গত শুক্রবার জয়নালের ছেলে আব্দুস সামাদ বাড়িতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এতে বাধা দিতে যান বৃদ্ধ লায়লী বেগম। তখন সামাদ উত্তেজিত হয়ে দাদিকে এলোপাতাড়ি লাথি-ঘুষি দিতে থাকেন। লায়লী বেগমকে তখন সামাদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা উদ্ধার না করে উল্টো টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় সামাদের মা শাশুড়িকে উদ্ধার না করে উল্টো ভিডিও ধারণ করে শাসিয়ে বলেন, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণে বাধা দিতে মেয়েরা লায়লী বেগমকে পাঠিয়ে তামাশা দেখছে।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হারুনুর রশীদ বলেন, বৃদ্ধার পরিবারে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আমরা বৈঠকে বসে দুই পক্ষকে জায়গা আলাদা করে দিয়েছিলাম। বৃদ্ধাকে মারধরের বিষয়টি দুঃখজনক।
কুলাউড়া থানার ওসি তদন্ত রতন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত পেলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।