২ বছর পর গোলাপগঞ্জে এলপিজি ও আরপিজিসিএল প্লান্ট ফের চালু হচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৪২:০৫ অপরাহ্ন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :
দেশের জ্বালানি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এলপিজি ও আরপিজিসিএল প্লান্ট আবারও চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের সরকারী মালিকানাধীন উৎপাদন মুখী এ প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ থাকায় মোটা অংকের ক্ষতি হয়েছে। পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে কোটি কোটি টাকার জ্বালানি পদার্থ। গোলাপগঞ্জবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি জ্বালানি মন্ত্রণালয় নড়ে চড়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাফিজুর রহমান চৌধুরী শনিবার প্লান্ট দুটি পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত হন।
দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এলপিজি প্লান্ট ও রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানী প্রায় দু বছর পূর্বে অজানা কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়। উৎপাদন মুখী জ্বালানি পদার্থের এ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হলে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের ক্ষতি হতে থাকে। কর্মহীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অলস সময় পার করে বেতন ভাতা নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে অনেক লোকবল এখান থেকে সরিয়ে হেড অফিস ঢাকা ও চট্টগ্রাম প্লান্টে নেয়া হয়।
এলপিজি প্লান্ট থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার বোতল গ্যাস উৎপাদন হলেও প্লান্ট বন্ধ হওয়ার উৎপাদনের সুযোগ থাকেনি। যেখান থেকে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার প্রতিদিন সিলেট ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো, প্লান্ট বন্ধ হওয়ার পর গোলাপগঞ্জের চাহিদা পূরণে বাহির থেকে গ্যাস সিলিন্ডার আনতে হচ্ছে। অন্যদিকে কারিগরী কারণে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার এলপিজি গ্যাস পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন সভা, সমাবেশ, মত বিনিময় ইত্যাদি কর্মসূচির পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পাশাপাশি সম্প্রতি গোলাপগঞ্জের নাগরিক জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাফিজুর রহমান চৌধুরীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় তিনি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে প্লান্ট দুটি পরিদর্শনে আসেন।
এসময় তিনি সাংবাদিক ও গোলাপগঞ্জের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, প্লান্ট দুটি বন্ধের বিষয়ে আমরা অবগত। তা চালুর জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য এসেছি। প্লান্ট দুটি চালু হলে জ্বালানি ক্ষেত্রে অনেক সুফল আসবে। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি মান্নান, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের এমডি মিজানুর রহমান, গোলাপগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মার্চেন্ট আমিনুর রহমান লিপন, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পরিচালক আব্দুল আহাদ, কৈলাশ টিলা গ্যাস ফিল্ড ১নং প্লান্টের ডিজিএম ও ৮ নং প্লান্টের পিডি নুরুল ইসলাম, ম্যানেজার ফজলুল হক, এলপিজি প্লান্টের এজিএম আব্দুল মুমেন, পৌর কাউন্সিলর ফজলুল আলম, পিএফজি প্রতিনিধি পারভেজ আহমদ প্রমুখ।