সিলেটজুড়ে শীতের দাপট
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:২৩:৩১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটজুড়ে জেঁকে বসছে শীত। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। রাতের ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে অনুভূত হচ্ছে হাঁড়কাপানো শীত। রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা। এর রেশ থাকছে দিনভর।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন আকাশ ও কুয়াশার কারণে সূর্যের তেমন দেখা মেলেনি। ঠান্ডায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হননি। নগরে লোকজনের চলাচল কম দেখা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সিলেট বিভাগে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে। আশা করা যায়, দুপুরের মধ্যে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। মেঘ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরো কমবে। শুক্রবার-শনিবারের দিকে শীতের অনুভূতিও বাড়বে সর্বত্র। সিলেটে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কথা হয় ভ্যানচালক কবীর মিয়া (৫৫) এর সঙ্গে। শীতে জবুথবু হয়ে তিনি বলেন, ২ দিন ধরে সিলেটে শীত জেঁকে বসায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশেষ করে ভরা বোরো মৌসুমের সময়ে হাওরবেষ্টিত জেলার হাকালুকি, টাঙ্গুয়া, হাইল হাওর, কাউয়াদীঘি, বড়হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে কৃষি শ্রমিকরা কাজে নামতে পারেননি।
শীতে ঠান্ডাজনিত রোগও বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ইতিমধ্যে এ ধরনের রোগী ভর্তি শুরু হয়ে গেছে অনেক হাসপাতালে।
এদিকে, দুই দিন ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সোমবার সকাল ৯টায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবহাওয়া পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদ-দেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর পাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।