গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আহত পুলিশ পেলেন না চিকিৎসা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৮:৪০:৫০ অপরাহ্ন
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :
গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিরাজ করছে অনিয়ম অব্যবস্থাপনা। আহত থানা পুলিশও বঞ্চিত হচ্ছেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সাপোর্ট থেকে। নেই এ্যাম্বুলেন্স, নেই স্ট্রেচার। নেই সাধারণের চিকিৎসা।
গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১১ সালে ৫১ শয্যায় উন্নীত হলেও সেবা প্রদান ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি। গত ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় সড়ক দুর্ঘটনায় হাসপাতাল বাইপাসে আহত হন দুই পুলিশ সদস্য সুহেল আহমদ (২৮) ও এসআই পিংকু দেব (২৪)। সুহেলের পা ভেঙ্গে যায়। এসময় একটি স্ট্রেচার চেয়েও পায়নি আহতরা। বলা হয় স্ট্রেচার নেই। এ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যায়নি এই দুর্ঘটনার আহতদের সিলেটে পাঠানোর জন্য। থানা পুলিশ তাদের আহত সদস্যদের নিয়ে দিশেহারা অবস্থায় পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরে বাথরুম থেকে স্ট্রেচার বাইর হয়। বিকল্প ব্যবস্থায় আহতের সিলেটে প্রেরণ করেন অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগির জন্য একটি স্ট্রেচারও নেই, পাওয়া যায়নি এ্যাম্বুলেন্সও। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, এ্যাম্বুলেন্স সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। আরেকটি আমি আসার পূর্বই কোভিডের জন্য সিলেটে নেয়া হয়েছে।
এ দিকে ৫০ শয্যার হাসপাতালে মানা হয়না আউটডোর সময়। সকাল ১০টার দিকে শুরু হলেও একটায় বন্ধ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিশেজ্ঞ চিকিৎসকরা পালাক্রমে সপ্তাহে ২/১ দিন এসে দায়িত্ব পালন করেন। ফলে রোগিরা বঞ্চিত হন সেবা থেকে। ৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ভাল সেবার জন্য গোয়াইনঘাটের অনেক রোগি জৈন্তাপুরের ৩১ শয্যার হাসপাতালে চলে যান। নেই আধুনিক সেবার সুযোগ সুবিধা। নেই এক্সরে, ইসিজি, এমনকি রোগির মলমুত্র পরীক্ষার জন্য নেই টেকনিসিয়ান। সাধারণ মানুষ মনে করেন যেখানে পুলিশ এসে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সাপোর্ট না পেয়ে হতাশ হতে হয়, সেখানে সাধারনের সেবা কতটুকু দেয়া হয় তা সহজেই অনুমেয়। সাধারণ মানুযের সেবার জন্য বর্তমান সরকার আন্তরিক হলেও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে আধুনিক সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। জনসেবায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হবেন এমন প্রত্যাশা গোয়াইনঘাটবাসীর।