ডেঙ্গুতে বছরের শেষ ৩ মাসে ৮০ শতাংশ মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৩০:১৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : করোনা মহামারীর মধ্যে চলতি বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। দেশে প্রায় দুই যুগে ডেঙ্গু সংক্রমণের ইতিহাসে চলতি বছরই সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে। বছরের প্রথম ৬ মাসে মৃত্যুর হার ছিল শূন্য। এরপর মৃত্যু বৃদ্ধি পায়। এক বছরের মৃত্যুর ৮০ শতাংশের বেশিই হয়েছে শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর)। মৃত্যুর এ ক্রমধারা আগামী বছরের শুরুর কয়েক মাস অব্যাহত থাকবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে ৬১ হাজার ৬৮১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৩৯ হাজারের কিছু বেশি এবং ঢাকার বাইরে প্রায় ২৩ হাজার। চলতি বছরই ঢাকার বাইরে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও মারা গেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে ২৮১ জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে। এর মধ্যে রাজধানীতে মারা গেছে ১৭৩ জন।
দেশে চলতি বছরই সর্বোচ্চসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। শুরু থেকেই এডিস মশা নির্মূল, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ, রোগী ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসার কাজ করছে সরকারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বলে অভিযোগ কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। শুধু মৌসুমি কার্যক্রমের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে না এলে অবস্থার উন্নতি হবে না বলে মনে করছেন তারা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ফলে দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
সরকারের তথ্য বলছে, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ২২৬ জনের মৃত্যু হয়। ডিসেম্বরে মারা গেছে ২৭ জন। অক্টোবর থেকে প্রায় প্রতিদিন হাজারের কাছাকাছি রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিল। এরপর ডিসেম্বরে এসে আক্রান্ত হার ও মৃত্যু সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকে। তবে তা সন্তোষজনক পর্যায়ে নামেনি বলে মনে করেন রোগতত্ত্ববিদরা।