বিশ্ব সেরাদের তালিকায় শাবির ২২২ গবেষক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৩১:৫৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিং ২০২৩-এ বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২২২ জন গবেষক। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
সম্প্রতি বিশ্বের ২১৬টি দেশের ১৯ হাজার ৫২৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ জন বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করেছে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সেখানে স্থান পেয়েছেন শাবিপ্রবির এই গবেষকরা।
এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স–এর ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ১২টি ক্যাটাগরিতে গবেষকদের ভাগ করা হয়েছে। এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিং-২০২৩ এর তালিকায় বাংলাদেশের ১৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার ৩৩৫ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন শাবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের ২২২ জন গবেষক।
তালিকায় শাবিপ্রবির গবেষকদের থেকে প্রথম ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. নুরশাদ আলী, সিইপি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসনাত ও সিইপি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তামেজ উদ্দিন।
জানা যায়, সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ৫ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে প্রতিবছর এ র্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে।
এ বিষয়ে শাবি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ গবেষকরা এখন ভালো করছে। আশা করি আমার সহকর্মীরা পাঠদানের পাশাপাশি গবেষণায় মনোযোগী হয়ে আরো ভালো করবে। শিক্ষার্থীদরকেও তিনি পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি গবেষণার কাজেও ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিলেন।
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণার জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করতে পেরেছি, আমরা তাদেরকে বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি, যার ফলে শিক্ষকরা গবেষণার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। এখন তার সুফল আমরা পাচ্ছি।
‘এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে প্রকাশিত তালিকায় গত বছর ছিল শাবির ৮৫জন, এ বছর স্থান পেয়েছেন ২২২জন। আগামীতে এ সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে।’
তিনি আরো বলেন, গত বছর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৭’শ গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা ও গবেষণা দুইটা সেক্টরেই ভালো করতে হবে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা ভালো অবস্থানে আছি উল্লেখ করে গবেষণায়ও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অনন্য অবস্থানে আছেন বলেও জানান তিনি।
আগামীতে এই ধারা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসকল শিক্ষকরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, সত্যিকার অর্থে আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডারে যে অবদান রাখছেন; আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই।
‘আমি মনে করি আমরা সকলে মিলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবো।’