গাইবান্ধার ভোটে এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়ম চোখে পড়েনি ইসির
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৬:৫৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের (পুনর্ঘোষিত) উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে। তবে ভোট শুরুর পর দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সিসি ক্যামেরায় এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়ম চোখে পড়েনি নির্বাচন কমিশনের।
বেলা ১১টায় ইসির আইডিইএ প্রকল্পের ডিপিডি (কমিউনিকেশনস) স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, মোট ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা থেকে সরাসরি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ভোট কেমন হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শাহরিয়ার আলম বলেন, সিসি ক্যামেরায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশনের পঞ্চম তলায় ইসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সকাল ৮টা থেকেই সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ চলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর, রাশেদ সুলতানা ও আনিছুর রহমান সেখানে আছেন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ইভিএমে ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। সিসিটিভিতে ঢাকায় বসে ভোট মনিটর করা হচ্ছে। অনিয়ম ঠেকাতে প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ছয়টি ভ্রাম্যমাণ ও চারটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের মাঠে রয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মারা গেলে তার সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত ১২ অক্টোবর ভোটে অনিয়ম হলে তা বন্ধ করে দেয় ইসি। পরে গত ৬ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের পুনঃভোটের জন্য ৪ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঠিক করা হয়।
এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচজন প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির (জাপা) এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র মো. নাহিদুজ্জামান ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।