আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:২৬:৫০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশে আগামী নির্বাচন হবে। তবে নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক গ্রহণে সরকারের কোনো সমস্যা নেই বলে জানান তিনি।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাজ্যের অলপার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চার সদস্য। পরে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ চার পার্লামেন্ট সদস্য হলেন; রুশনারা আলী, জনাথন রেনল্ডস, মোহাম্মদ ইয়াসিন এবং টম হান্ট। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
যুক্তরাজ্যের অলপার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের সদস্যদের শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন অনেক স্বাধীন। আমরা আপনাদের ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতির গণতন্ত্র অনুসরণ করি। সংবিধান অনুযায়ী দেশে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে সময় নির্বাচন পর্যবেক্ষক এলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতে সামরিক শাসকদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আওয়ামী লীগের। সামরিক শাসকরা বন্দুক ব্যবহার করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করত। এরপর রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে আসতো। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বিভিন্নভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় এবং ভোজ্যতেল ইউক্রেন থেকে আসত। কিন্তু যুদ্ধের কারণে এসব পণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দাম বাড়ছে।
বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে সেখানে যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়।
ব্রিটেনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে তারা বলেন, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে তাদের অবদান রেখে চলেছেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।