মিডিয়ার কারণে বিদেশীরা পাত্তা পাচ্ছে : সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:৩২:২৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটে শিশুমৃত্যু-মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিলো। কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ার ফলে মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যু অনেক কমে গেছে। সিলেটে আরও সাতটি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মোট ২৪ টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক প্রয়োজন। আশা করছি দ্রুতই এগুলো পেয়ে যাবো।
বুধবার সকালে সিলেটের ইপিআই ভবনে সিভিল সার্জনের কার্যালয় আয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশীদের জ্ঞান খুব সীমিত, তারা আমাদের মাঝেমধ্যে যে সুপারিশ দেয়, সেগুলো খুব আহাম্মকের মতো মনে হয়, অলীক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানে এদেশের মানুষ।
মন্ত্রী বলেন, এই দেশে পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দেশ, যেখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ লক্ষ লোক রক্ত দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের জন্য এতো লোক পৃথিবীর আর কোথাও রক্ত দেয়নি। এখানে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গণতন্ত্র রয়েছে। অথচ তারা আসছে আমাদের মানবাধিকার আর গণতন্ত্র বোঝাতে।
এদেশে নির্বাচনে ৭০ থেকে ৮০% লোক ভোট দেয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশে ২৫-৩০% লোকও ভোট দেয় না। সেসব দেশে নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না, অথচ এদেশে একেকটি পদে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপর তারা কী বড়বড় বকবক করে। নিজের দিকে তাকায় না কেন?
বিদেশিদের নিয়ে মিডিয়াকে হইচই না করার পরামর্শ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিডিয়ার কারণে বিদেশীরা পাত্তা পাচ্ছে। আপনারা বিদেশিদের কাভার করা বন্ধ করেন। আপনারা কাভারেজ বন্ধ করলে তারা ঘরে বসে থাকবে। আপনাদের কারণে তারা মজা পায়। তারা নিজেদের এইদেশের রাজা মনে করে।
বাংলাদেশের মতো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অন্য কোথাও নেই বলে মন্তব্য করেন ড. মোমেন বলেন, এখানে সাড়ে ১২ হাজার পত্রিকা ও ৪৫ টা টেলিভিশন আছে। অনেকগুলো সাময়িকী আছে। আর কোথায় এমন আছে?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। আমরা দারিদ্র অর্ধেকে নামিয়ে দিয়েছি। যেহেতু আমরা উ্ন্নতি করছি তাই অনেকের চোখে পড়ছে। অনেকে ফায়দাও লুটতে চাচ্ছেন। এখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
এরআগে মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এসএম শাহরিয়ারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।