বন্যায় বেহাল শ্যামপাড়া-কান্দিগাঁও রাস্তা দুর্ভোগে ১২ গ্রামের মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:৪৩:০১ অপরাহ্ন
ছাতক প্রতিনিধি: ছাতকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় শ্যামপাড়া-কান্দিগাঁও রাস্তায় ৭ মাস ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সদর ইউনিয়নের এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে এলাকার ১২ টি গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছাতক আকিজ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের পশ্চিম পয়েন্ট শ্যামপাড়া থেকে শুরু হয়ে কান্দিগাঁও পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এ রাস্তাটি কান্দিগাঁও-গদারমহল হয়ে রুক্কা বাজারের কাছে ছাতক-জাউয়া সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে এ রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
বন্যায় এ রাস্তার মদুকোনি ও মানসীনগর- তিররাই গ্রাম এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার এই অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। স্থানে স্থানে পিচঢালা উঠে গেছে। মাটি সরে গিয়ে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এলাকার লোকজন বর্ষায় হাঁটা চলা করতে সাময়িকভাবে ওই সময়ে ২ টি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে রাস্তা দিয়ে হাঁটা চলা করেছেন। বর্তমানে এ বাঁশের সাঁকোও আর নেই। এখন ছাতক শহর থেকে মদুকোনি হয়ে মধ্যখানে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ঝুঁকি নিয়ে ক্ষেতের জমি দিয়ে চলাচল করে তিররাই বা রাতগাও পয়েন্টে পৌঁছাতে হচ্ছে। এই এলাকায় যাতায়াতের আর কোন বিকল্প রাস্তা না থাকায় এভাবেই ৭ মাস ধরে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে যাচ্ছেন। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরও একই অবস্থা। পায়ে হেঁটে কিছু রাস্তা আর অটোরিকশায় করে কিছু রাস্তা অতিক্রম করে শহরে গিয়ে তারা লেখাপড়া করছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম, মাস্টার আবু বকর, আব্দুল হক মোল্লা, ইউসুফ আলম সুমনসহ এলাকার লোকজন জানান, গত ২২ মে প্রথম দফা বন্যার পর এ রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এরপর এলাকার লোকজনের উদ্যোগে রাস্তাটি সাময়িক সংস্কার করা হলে কিছু দিন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করেছে। ১৫ জুনের দ্বিতীয় দফা বন্যায় রাস্তটি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে মদুকোনি, তিররাই, মানসীনগর, রাতগাঁও, মুক্তিরগাঁও, কান্দিগাঁও, গদারমহল, চলিতারবাক, রুক্কা, ঘাটপারসহ ১২টি গ্রামের মানুষ।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, রাস্তার বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে রয়েছে। জনস্বার্থে দ্রুত এ রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন।
ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন জানান, গত বছরের ২৪ আগস্ট রাস্তাটি তিনি পরিদর্শন করেছেন। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেবেন।