যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:৫১:৪৩ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। নিহত ওই শিার্থী বড় একটি ছুরি হাতে ঘুরছিলেন। তাকে ছুরিটি ফেলে দিতে বলা হলেও সেটি না করায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে এই ঘটনা ঘটে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, বড় একটি ছুরি হাতে সজ্জিত এক ব্যক্তিকে বুধবার বিকেলে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজের এক পুলিশ অফিসার গুলি করে হত্যা করেছে। কেমব্রিজের চেস্টনাট স্ট্রিট এলাকায় ধাওয়া ধরে ধরার চেষ্টার পর এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, কেমব্রিজপোর্টের একজন বাসিন্দা দুপুর সোয়া একটার দিকে ৯১১ নম্বরে ফোন করেন। ছুরি হাতে একজন ব্যক্তি অ্যাপার্টমেন্টের জানালা থেকে লাফিয়ে পড়ার ঘটনা জানানোর জন্যই ওই বাসিন্দা ফোন করেন। লোকটিকে তখন অস্ত্র দিয়ে নিজেকে আঘাত করতে দেখা যায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিডনি স্ট্রিটের একটি বিল্ডিংয়ের পেছনে ওই ব্যক্তিকে ২০ বছর বয়সী সাঈদ ফয়সাল নামে শনাক্ত করে। ফয়সাল তখন অস্ত্রটি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়, তদন্তকারী কর্মকর্তারা ধারালো ওই অস্ত্রকে লম্বা কুকরি ছুরি বলে উল্লেখ করেছেন।
পরে চেস্টনাট স্ট্রিটে ফয়সাল ছুরি নিয়ে অফিসারদের দিকে এগিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে অফিসাররা থামাতে চাইলেও ব্যর্থ হয় বলে জানিয়েছেন মিডলসেক্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মারিয়ান রায়ান।
রায়ান আরও বলেন, ‘তিনি (ফয়সাল) একপর্যায়ে ছুরিটি নিয়ে অফিসারদের দিকে অগ্রসর হলে কেমব্রিজের একজন অফিসার তাকে গুলি করেন।’
গুলি করার পর ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস (ইএমএস) ঘটনাস্থলে না আসা পর্যন্ত ফয়সালকে ঘটনাস্থলে থাকা অফিসাররা চিকিৎসা করেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ফয়সালের মৃত্যু হয়।
কেমব্রিজ পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টিন এলো বলেন, ‘আমাদের অফিসাররা বেশ কয়েকবার ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। ওই যুবকের দেখা পাওয়ার পর তাকে নাগালে পেতে পাঁচটি ব্লকেরও বেশি এলাকায় চেষ্টা চালানো হয়। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি।’
এদিকে সাঈদ ফয়সালকে গুলি করা কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। গুলি ও নিহতের ঘটনায় তদন্ত করছে মিডলসেক্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস।