আটলান্টিকে পুতিনের ভয়ঙ্কর মিসাইল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:১৫:০০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আটলান্টিক মহাসাগরে নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। বুধবার এই যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধে যে রাশিয়া পিছু হটবে না, পশ্চিমাদের এমন ইঙ্গিত দিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন পুতিন। রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক হাইপারসনিক অস্ত্র নির্মাণের প্রতিযোগিতায় রয়েছে। হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি দ্রুতগতির। এর ফলে এসব বিদ্যমান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।
এক ভিডিও কনফারেন্সে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, অ্যাডমিরাল অব দ্য ফিট অব দ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন গ্রশকভ নামের ফ্রিগেটে হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র জিরকন মোতায়েন করা হয়েছে।
পুতিন বলেন, এবার যুদ্ধজাহাজটিতে সর্বাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা জিরকন রাখা হয়েছে। আমি নিশ্চিত এমন শক্তিশালী অস্ত্র রাশিয়াকে বাইরের সম্ভাব্য হুমকি থেকে রক্ষা করবে। পুতিনের দাবি, এমন অস্ত্র বিশ্বে আর নেই। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়া দাবি করেছে, তারা হাইপারসনিক কিঞ্জাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
রাশিয়ার হাইপারসনিক অস্ত্রের মধ্যমণি হলো জিরকন। শব্দের চেয়ে ৯ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দেড় হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম।
প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলটি প্রায় ৪০০ কেজি ওয়্যরহেড বহন করতে পারে। ৩০০ কিলোটন ক্ষমতা সম্পন্ন পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। র্যামজেট ইঞ্জিনের কারণে উৎক্ষেপণের পর খুব অল্প সময়েই প্রায় ৯০ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে পারে জিরকন মিসাইল। সক্ষম যে কোনও রাডার ফাঁকি দিতেও।
২০২১ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ চালায় রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ঘোষণা দেন ২০২২ সালেই এটি যোগ হবে সামরিক বাহিনীতে। তবে সেই ঘোষণারও প্রায় ১ বছর পর এটি মোতায়েন করা হলো আটলান্টিক মহাসাগরীয় এলাকায়। যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গুড়িয়ে দিতে এই অস্ত্রকে একটি উপায় হিসেবে মনে করে দেশটি।