চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পিটুনি খেল ২ পুলিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:০৪:২৯ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ সংবাদদাতা: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ি গ্রামে পাথর থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে ২ পুলিশ সদস্য মারধরের শিকার হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে চোর চোর বলে ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনার পর ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই মোঃ শাহাব উদ্দিন খান তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি দায়ের করার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সাধারণ ডায়রিতে তিনি উল্লেখ করেন কনস্টেবল মোঃ সুমন মিয়া ও মোঃ শাহরিয়ার হোসাইন ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে সাদাপাথর চুরি রোধে ডিউটি ছিল। কিন্তু তারা ডিউটিতে না গিয়ে ও ফাঁড়ির ইনচার্জকে না বলে অসৎ উদ্দেশ্যে কলাবাড়ি চলে যায়। তিনি সাধারণ ডায়েরিতে আরো উল্লেখ করেন- ইতোপূর্বে উক্ত কনস্টেবলদ্বয় তাকে না জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতো। তাদেরকে বারংবার সতর্ক করার পরেও তারা চেইন অব কমান্ড অমান্য করেন। এমন সাধারণ ডায়েরি দায়ের করার পরেও এই ২ পুলিশ সদস্য ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত: ২৪ ডিসেম্বর রাত ১০টায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ও শাহরিয়ার পাথর ভর্তি ট্রলির খবর পান। খবর পেয়ে সাদা পোশাকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে কলাবাড়ি নদীর পাড়ে চলে যান। সেখানে গিয়ে পাথর ভর্তি ট্রলি থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত কয়েকজনের সাথে তারা বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে বেলচা দিয়ে সুমন ও শাহরিয়ারকে তারা মারধর করেন এবং চোর চোর বলে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, পুলিশকে টাকা দিয়ে নদী থেকে তারা পাথর সংগ্রহ করেন। এরপর আবার ট্রলি দিয়ে পাথর পরিবহনের সময়ও পুলিশকে টাকা দিতে হয়। ট্রলি দিয়ে যেই ক্রাশার মিলে পাথর বিক্রি করে সেই ক্রাশার মিল থেকেও টাকা নেয় পুলিশ। পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে শ্রমিকেরা ২ পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত চক্রবর্তীর কাছে পুলিশ সদস্য সুমন ও শাহরিয়ারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের সাথে কলাবাড়ি গ্রামে মারামারির কোন ঘটনা আমার জানা নাই।