বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১ বছরে ১২৫১ মামলা নিষ্পত্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:০৬:৩৮ অপরাহ্ন
আব্দুর রব, বড়লেখা : বড়লেখায় মামলা জট নিরসনে অনন্য নজির স্থাপন করলেন বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তাঁর বলিষ্ট ভুমিকায় ২০২২ সালে ১২৫২ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। যা ওই বছরের মোট দায়েরকৃত মামলার ১১৩ শতাংশ এবং আদালত চালুর পর সর্বাধিক। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির কারণে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবিসহ সংশ্লিষ্টরা আদালতের ওপর সন্তুষ্ট বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনায় ২০০৪ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (চৌকি আদালত) বড়লেখায় বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে। অনেক মামলার বাদী, তদন্ত কর্মকর্তা, চিকিৎসকসহ মামলা সংশ্লিষ্টরা যথাসময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারকার্য বিলম্বিত হচ্ছিল। এতে বিচারপ্রার্থীরাও ভোগান্তির শিকার হন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওই আদালতে যোগদানের পর মামলাজট নিরসনে বিশেষ উদ্যোগী হন। তাঁর ভুমিকায় মামলা সংশ্লিষ্টরা আদালতে হাজির ও মামলা নিষ্পত্তিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তাঁর বিশেষ ভুমিকায় ২০২২ সালে ১২৫২ মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। যা ওই আদালতে দায়েরকৃত মামলার ১১৩%। ওই বছরের ১ জানুয়ারি বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলা ছিল ৯৯৬ টি। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে সামগ্রিকভাবে নতুন ১১১০ টি মামলা দায়ের হয়। ফলে এ বছরে আদালতে বিচারাধীন মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ২১০৬ টি। বিচারাধীন এই ২১০৬ টি মামলা থেকে সর্বমোট ১২৫২ টি মামলা নিস্পত্তি শেষে ২০২৩ সালের শুরুতে ৮৫৪ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ২০২২ সালে দায়েরকৃত মামলার অনুপাতে এ আদালতে ১১৩% মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। সূত্রমতে এই আদালতে এক বছরে (২০২২) বিচার ফাইলের মোট ৩৫৭ টি মামলার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এই সময়কালে থানায় ২৬৩ টি মামলা দায়ের হয়। যার বিপরীতে থানায় দায়ের হয়েছে এমন ৪৪৭ টি মামলা আদালতের আমল ফাইল থেকে নিস্পত্তি করা হয়।
এদিকে, এই সময়ে মোট ২৪ টি মামলার রায়ে প্রথমবারের মতো অপরাধে জড়িত হয়েছে এমন অপরাধীদের জেলে পাঠানোর পরিবর্তে সংশোধনমূলক আদেশ দিয়ে প্রবেশনে পাঠানোর আদেশ জারি করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক। এসব অপরাধীদের জনস্বার্থে নিয়োজিত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অধীনে জনসেবামূলক কাজসহ সংশোধনের উপযোগী নানা রকম শর্ত পূরণ করতে দেয়া হয়েছে।
আদালতের সহকারী আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত জানান, ২০২২ সালে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জিয়াউল হক এই মামলাসমূহ নিস্পত্তি করেন। আইনজীবীবৃন্দ, বড়লেখা থানা পুলিশ, কোর্ট পুলিশ, বিচারপ্রার্থী জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতার কারণে আদালতের পক্ষে বিশাল পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তির এই কর্মসম্পাদন সম্ভব হয়েছে।