বড়লেখায় স্মার্টকার্ড সংগ্রহে ভোগান্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:১৩:১৪ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অবিতরণকৃত স্মার্টকার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) সংগ্রহ করতে ভুক্তভোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে অব্যবস্থাপনার কারণে দূরদুরান্তের লোকজন উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে যাতায়াত বাবত অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি সকাল থেকে রাত অবধি বসে থাকতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী মহল ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবী অবিতরণকৃত স্মার্টকার্ড একদিন করে ইউনিয়নে গিয়ে বিতরণের ব্যবস্থা নিলে জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব হতো।
সরেজমিনে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শত শত মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের নির্ধারিত তারিখে যারা কার্ড সংগ্রহ করতে পারেননি তাদেরকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে কার্ড সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৩ জানুয়ারী থেকে ৭ জানুয়ারী পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ওই দিন থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিস প্রাঙ্গণে ভুক্তভোগীরা হুমড়ি খান। স্মার্টকার্ড করে ফিঙ্গার ও আইরিশ প্রদানে অনেককে ঘন্টার পর ঘন্টা এমনকি রাত অবধি অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে দূরদুরান্ত থেকে শিশুসন্তানদের সাথে নিয়ে আসা নারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন ও উত্তর ইউনিয়নের গৌড়নগর থেকে স্মার্টকার্ড সংগ্রহে যাওয়া কুলছুমা বেগম ও রহিমা বেগম জানান, তারা সকাল ৯ টায় উপজেলায় গেছেন। স্মার্টকার্ড খুঁজে বের করার জন্য পুরাতন কার্ড জমা দিয়েছেন ১০টার দিকে। এখন দুপুর ১টা হয়ে গেছে। কখন কার্ড পাবেন আর ফিঙ্গার দিবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না।
সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাস নান্টু ও উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, তাদের ইউনিয়নের লোকজনকে উপজেলা পরিষদে আসা যাওয়ায় জনপ্রতি অন্তত ১০০ টাকা খরচ হয়। একজনকে সাথে নিয়ে আসলে ২০০/৩০০ টাকা লাগে। কার্ড সংগ্রহ করতে উপজেলা পরিষদে গিয়ে সময় ব্যয়ের সাথে অর্থ ব্যয়ও হচ্ছে। রাত অবধি বৃদ্ধ বৃদ্ধা ও নারীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নির্বাচন অফিস যদি অবিতরণকৃত কার্ডগুলো বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে আরেকদিন গিয়ে বিতরণের ব্যবস্থা নিলে মানুষজন এত ভোগান্তিতে পড়তেন না।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার এসএম সাদিকুর রহমান জানান, মানুষের যাতে ভোগান্তি পোহাতে না হয় সে ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।