টাকার অভাবে থেরাপি দিতে পারছেন না ক্যান্সার আক্রান্ত জহুরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:৫০:৩০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত এক নারীর চিকিৎসা থেমে গেছে টাকার অভাবে। ফলে সুস্থ হওয়ার পথে থাকা জহুরা খাতুন নামের ওই অসহায় নারী চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বানদের কাছে মানবিক সহায়তা কামনা করেছেন। ক্যান্সার আক্রান্ত জহুরা খাতুনের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পেকপাড়া গ্রামে। তিনি বর্তমানে সিলেট নগরীর কাজী ইলিয়াছে বসবাস করছেন। তার স্বামীর নাম নুর ইসলাম। তিনিও বর্তমানে অসুস্থ।
জানা গেছে নুর ইসলাম পরিবার নিয়ে সিলেট নগরীর কাজী ইলিয়াছে বহুতল ভবনের ফ্লাটে বসবাস করতেন। তিন ছেলে ও দুই মেয়ের সংসারে ভালোই দিন কাটছিল তাদের। হঠাৎ অন্ধকার মেঘ যেন ঢেকে দেয় পরিবারটির সুখের আকাশ। নুর ইসলাম পায়ের অসুস্থাজনিত কারণে কাজকর্মে প্রায় অক্ষম হয়ে পড়েন। এরই মাঝে পরিবারের গৃহকর্তী জহুরা খাতুনের স্তনে একটি টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা ক্যান্সারের জীবানু পেয়ে অপারেশন করে টিউমারটি স্তনসহ কেটে ফেলে দেন।
সিলেটের বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ এসতেসফার হোসেনের তত্ত¡াবধানে শুরু হয় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। ৩০টি রেডিও থেরাপির জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে হাতে থাকা সহায় সম্বল বিক্রি করে কয়েকটি থেরাপি দিয়েছেন। ঘরের আসবাবপত্র পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে। ফ্লাট ছেড়ে পার্শ্ববর্তী একটি কলোনীতে স্কুল পড়–য়া মেয়ে আর স্বামী-সন্তানদের নিয়ে কোনোরকম মাথা গোজার একটা ঠাই করে নিয়েছেন কম ভাড়ায়। তবু যেন কিছুতেই কুল পাচ্ছেন না। স্বজন প্রিয়জন সবাই যেন এখন দূরে থাকতেই চাইছেন। এমন কঠিন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে জহুরা খাতুন বলেছেন চিকিৎসকের পরামর্শে রেডিও থেরাপি শুরু করার পর বেশ স্বস্তিবোধ করছেন। প্রায় স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন। কিন্তু অর্থ সংকটে আর থেরাপি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে কি না সন্দিহান। কারণ এখন দু বেলা খাবার জোগাড় আর ঘর ভাড়া নিয়েই শংকিত তারা। এমতাবস্থায় জহুরা খাতুন সমাজের হৃদয়বানদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়ে বলেন, কদিন বাঁচি ঠিক নেই। যদি চিকিৎসা শেষ করতে পারতাম। তাহলে মনে অন্তত শান্তি পেতাম। আমার অবস্থা দেখে স্বামীর অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। স্কুল পড়–য়া ছোট মেয়েটির লেখাপড়াও বন্ধের উপক্রম। এমতাবস্থায় হৃদয়বানদের সহযোগিতা বড়ই প্রয়োজন। তিনি তাকে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনে তার ভাড়া বাসায় অথবা ০১৭২৭৪১৪৮৩৪, ০১৭৫৪৮৬০৫৩৯ নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।