সিলেটে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:৫৫:২৪ অপরাহ্ন
কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি ঢাকার আয়োজনে রোববার নগরীর ধোপাদীঘিরপারস্থ ডিএই সিলেটের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিএই সিলেট অঞ্চল সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোশাররফ হোসেন খাঁন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প ডিএই খামারবাড়ি ঢাকার প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমান।
তিনি বলেন, যে সকল ফসলের কাণ্ড বা শিকড় কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জমা হওয়ার কারণে স্ফীত হয়ে রূপান্তরিত হয়, সেগুলোকে কন্দাল ফসল বলে। গুরুত্বপূর্ণ কন্দাল ফসলসমূহের মধ্যে রয়েছে- আলু, মিষ্টি আলু, গাছ আলু বা মেটে আলু, কাসাভা, পানিকচু, লতিরাজি কচু, মুখী কচু ও ওল কচু। দেশে প্রায় ৫.৩৪ লাখ হেক্টর জমিতে কন্দাল ফসল চাষ করা হয় এবং বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ১২১ লাখ মেট্রিক টন। অধিক শর্করা থাকার কারণে অনেক দেশেই কন্দাল ফসল প্রধান খাদ্য এবং সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি আলু, মিষ্টি আলু, পানিকচু, মুখীকচু এবং এগুলোর প্রক্রিয়াজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। মানসম্পন্ন কন্দাল ফসল উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
ডিএই সিলেট অঞ্চল সিলেটের উপপরিচালক ড. কাজী মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আকবরপুর মৌলভীবাজারের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হায়দর আলী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সিটিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ সিলেটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, বিএডিসি সিলেটের যুগ্ম পরিচালক (বীজ বিপনন) সুপ্রিয় পাল।
কর্মশালায় প্রকল্পভুক্ত সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের ৫টি জেলার উপ-পরিচালক, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক, ১৪টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি এবং উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি