দাম বেড়েছে রসুন-আদা পেঁয়াজ-ডিম-ব্রয়লারের
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:১৫:০৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : নতুন বছর ২০২৩ সালের শুরুতে দাম বেড়েছে রসুন, আদা, আমদানি করা পেঁয়াজ, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির। বিপরীতে অপরিবর্তিত রয়েছে আটা, ময়দা, খোলা সয়াবিন, হলুদ, এলাচ, লবঙ্গের দাম। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশ (টিসিবি) থেকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। যদিও টিসিবির পক্ষ থেকে আটা, ময়দা, খোলা সয়াবিন, হলুদ, এলাচ, লবঙ্গের দাম কমেছে বলে তুলে ধরা হয়েছে। যদিও এর বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে টিসিবির তৈরি করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬ জানুয়ারি ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এতে এক হালি (৪টি) ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা।
ডিমের দাম বাড়ার একদিন আগে অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি বাড়ে ব্রয়লার মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগির দাম ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকা। যা আগে ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।
একইদিন দাম বাড়ে আমদানি করা আদা ও দেশি রসুনেরও। আদার দাম ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৯০ থেকে ১৫০ টাকা। আর দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এতে এক কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা, যা আগে ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
আমদানি করা রসুনের দাম বাড়ে ২ জানুয়ারি। ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়ে ৬ জানুয়ারি। ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ দাম বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা।
আর আলুর দাম বাড়ে ৪ জানুয়ারি। ২৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৬ থেকে ২২ টাকা। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে সব থেকে বেশি বেড়েছে আলুর দাম।
অন্যদিকে ৫ জানুয়ারি খোলা আটার দাম কমেছে। বছরের প্রথম সপ্তাহে খোলা আটার দাম কমেছে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এতে এক কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ছিলো ৫৮ থেকে ৬২ টাকা।
এর দুদিন পরে কমে খোলা ময়দার দাম। ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে খোলা ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, যা আগে ছিল ৬৮ থেকে ৭২ টাকা। প্যাকেট ময়দার দাম কমেছে ১ জানুয়ারি। বছরের প্রথম সপ্তাহে প্যাকেট ময়দার দাম ১ দশমিক ২১ শতাংশ। এতে প্যাকেট ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
বছরের প্রথম সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় থাকা লুজ সয়াবিন তেলের দাম কমেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ। এতে এক লিটার লুজ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭ থেকে ১৮০ টাকা, যা আগে ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।
২ দশমিক ৮৬ শতাংশ দাম কমেছে ছোলার। এতে এক কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, যা আগে ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এতে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫ থেকে ৪৮ টাকা।
দেশি হলুদের দাম কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এতে দেশি হলুদের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। আমদানি করা হলুদের দাম কমেছে ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এতে এক কেজি আমদানি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৯০ থেকে ২২০ টাকা।
লবঙ্গের দাম কমেছে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এতে এক কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ৩২০ থেকে ১ হাজার ৪২০ টাকা। এলাচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ৮৫০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। বছরের প্রথম সপ্তাহে এলাচের দাম কমেছে ১ দশমিক ১২ শতাংশ।