বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক চমৎকার —ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:১৫:০৬ অপরাহ্ন
সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জেসওয়াল এর সাথে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা সোমবার চেম্বার ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ।
সভায় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র। আমাদের দুই দেশের জীবনধারা ও সংস্কৃতি যেমন এক, তেমনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্কও অত্যন্ত চমৎকার। তিনি বলেন, সিলেটের আমদানিকারকরা ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে কয়লা, পাথর ইত্যাদি রো-ম্যাটেরিয়াল আমদানি করে থাকেন, কিন্তু সমগ্র ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য আরো অনেক পণ্য আছে। সিলেটের আমদানিকারকগণ ভারত থেকে এসব পণ্য আমদানি করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আরো প্রসার ঘটাতে পারেন। তিনি জানান, শেওলার বিপরীতে অবস্থিত ভারতের সুতারকান্দি এলসি স্টেশনের উন্নয়ন কাজ অচিরেই শুরু হবে, এতে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকগণের সুবিধা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে সিমেন্ট ও খাদ্যদ্রব্য ভারতে রপ্তানি হয়, বাংলাদেশী রপ্তানিকারক ভারতে প্লাস্টিক পণ্যও রপ্তানি করতে পারেন। তিনি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিরাজমান সমস্যাবলী সমাধানে আগামীতে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা আয়োজনের প্রস্তাব করেন। এছাড়াও তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশে ডলার সংকটের কারণে বর্তমানে সিলেট থেকে এলসি ইস্যু না হওয়ায় ভারত থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে, পাথর আমদানিও প্রায় বন্ধের পর্যায়ে। তাই বক্তাগণ ডলার এর পরিবর্তে রুপির মাধ্যমে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া থেকে এলসি ইস্যু করে কয়লা, পাথর আমদানি চালু রাখার প্রস্তাব করেন। বক্তারা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিতে বর্ডারের কাছাকাছি স্থানে কোয়ারেন্টাইন অফিস স্থাপন, ভারতীয় এলসি স্টেশন সমূহের কার্যক্রম সকাল ৯ টা থেকে শুরু করা, বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিকারকগণকে ৫ বছরের মাল্টিপল ভিসা ইস্যু এবং সুতারকান্দি এলসি স্টেশনে ব্যবসায়ী ও যাত্রীগণের মালপত্র চেকিং এর সময় সম্মানজনক আচরণ করার অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক আবু তাহের মোঃ শোয়েব, জিয়াউল হক, মুশফিক জায়গীরদার, মুজিবুর রহমান মিন্টু, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), দেবাংশু দাস, কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শাহ আলম, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরী টিপু, ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রহমান রিপন, মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ জহির হোসেন, নিয়াজ মোঃ আজিজুল করিম, এস. এম. শায়েস্তা তালুকদার, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মোঃ আবুল কালাম, সানজিদা খানম, আব্দুল হাদী পাবেল, জয়দেব চক্রবর্তী জয়ন্ত, নুরুল ইসলাম সুমন, শাহ আহমদুর রব প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি