সাংবাদিকদের মারামারি ও হল ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মী বহিষ্কার
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৪:০৮ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : সাংবাদিকদের হেনস্তা, মারামারি ও হল ভাঙচুরের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ছাত্র অধিকার পরিষদের এক কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির অনলাইন সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে বিষয়টি জানানো হয়।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ও বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য সচিব রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, গত বছরের ১১ আগস্ট খালেদা জিয়া হলে ছাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতি এবং মারধরের ঘটনায় চবি ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তাসফিয়া জাসারাত নোলককে দেড় বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আরশিল আজিম এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শোয়েব মোহাম্মদ (আতিক)। ৮ অক্টোবর আলাওল হলের কক্ষ ভাঙচুর ও প্রাধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দুই ছাত্রলীগকর্মীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শহিদুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, গত ২ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও রাম দা উঁচিয়ে স্লোগান দেওয়ার ঘটনা ঘটনায় ছয় ছাত্রলীগকর্মীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন সংস্কৃত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অনিক দাস, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অয়ন কান্তি সরকার, একই শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের লাবিব সাঈদ ফাইয়াজ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিফাতুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. মোবারক হোসেন ও একই সেশনের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের নাহিদুল ইসলাম। অন্যদিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছাত্রলীগের আরও ছয়জন নেতাকর্মীকে এক বছরের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন, ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আমিরুল হক চৌধুরী, বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ ফাহিম, ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. ইকরামূল হক, দর্শন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নয়ন দেবনাথ।
অন্যদিকে শাটল ট্রেনে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্টের দায়ে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. জোবায়ের হোসেনকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী।