আ’লীগকে ক্ষমতা ছেড়ে মাফ চাইতে হবে : সিলেটে গণ-অবস্থানে গয়েশ্বর
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:১৭:৫৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ১০ বিভাগীয় নগরীর মতো সিলেটেও বিএনপির গণ-সমাবেশ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বেলা ১১টায় সিলেট মহানগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে শুরু হওয়া এই গণঅবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ন মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
এসময় বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা ছেড়ে মাফ চেয়ে জনতার কাতারে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার ফ্যাসিবাদের যত উপকরণ আছে সব জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ১০ দফা দাবি আদায় করে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। শেয়ার মার্কেট, স্বাস্থ্যখাত, বিদ্যুৎখাত সকল দেশের সকল খাতে ব্যাপক হাতে চুরি হয়েছে। পদ্মাসেতু সহ উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জনগনের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। দেশ আজ বির্পস্ত। আওয়ামীলীগ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র চায়না। তারা শুধু ক্ষমতা চায়। বিএনপি জনগনকে নিয়ে মাঠে থাকবে, আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। এই সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন হতে পারে না। নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া আওয়ামীলীগের অধিনে বিএনপি নির্বাচনে যাবেনা।
এসময় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রস্তাবের প্রতিবাদে ও বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি।
ভারতের কাছে আওয়ামীলীগকে টিকিয়ে রাখার অনুরোধ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন দ্বায়িত্বশীল মন্ত্রীর পক্ষে এসব কথা মানানসই নয়। কতবড় বেকুব হলে একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরকম বক্তব্য দেন। তারা ভারতের সাথে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই সম্পর্ক রাখে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি।
বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় দলনেতা এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আদাল বলেন, ছাগল চুরি, গরু চুরি, কয়লা চুরি, বিদ্যুৎ চুরি সহ রিজার্ভ চুরি, ব্যাংক চুরি সহ সব চুরির সাথে আওয়ামীলীগ জড়িত। আওয়ামী লীগ এখন সব চুরের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আমরা নিত্যপণ্য, বিদ্যুৎ, তেল গ্যাস কমানোর জন্য বার বার বলছি। সারের দাম কি পরিমান বাড়ছে, এখান আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরালে দেশের মানুষ বাঁচতে পারবে না। এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে। তাই এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
স্বাগত বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা এর মধ্যেই আবার তারা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করছে। বিএনপি জনগনের দল, তাই জনগনের ন্যায্য দাবী আদায় করার জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। অতিতের মত দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপির সাথে আছে।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন কালে সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে দলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানান।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম. নাসের রহমান, কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গৌছ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সহ ক্ষুদ্রঋণ ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও মিজানুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান প্রমূখ। এসময় সিলেট বিভাগে চার জেলা বিএনপি, সিলেট মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সিলেট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এডভোকেট আব্দুল গফফার, এডভোকেট আশিক উদ্দিন, মামুনুর রশিদ মামুন, এডভোকেট এটিএম ফয়েজ, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, ফখরুল ইসলাম ফারুক, হাজী শাহাব উদ্দিন, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, ইশতিয়াক সিদ্দিকী, শামীম আহমদ, ইকবাল বাহার চৌধুরী, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, কোহিনুর আহমদ, আবুল কাশেম, ইকবাল আহমদ তাপাদার, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, আহাদ চৌধুরী শামীম, শাহিন আলম জয়। সিলেট মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে- নাসিম হোসাইন, বদরুজ্জামান সেলিম, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জিয়াউল গনি আরেফিন জিল্লুর, সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, নজিবুর রহমান, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, সালেহ আহমদ খসরু, মাহবুব কাদির শাহী, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, হুমাইয়ুন আহমদ মাসুক, মুকুল মোর্শেদ, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মাহবুব চৌধুরী। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা ইসলাম তরফদার তনু, মিজানুর রহমান। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা নাদের আহমদ, আনসার উদ্দিন। যুবদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে- আবুল মনসুর শওকত, এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, শাহনেওয়াজ বক্ত তারেক, জালাল উদ্দিন, মকসুদ আহমদ, মীর্জা সম্রাট। কৃষকদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে- আনিছুল হক, মোনায়েম কবির, শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, তাজরুল ইসলাম তাজুল। স্বেচ্ছাসেবকদল নেতৃবৃেন্দর মধ্যে- স্বাগত কিশোর দাস, শামসুজ্জামান, শাকিল মোর্শেদ, আফসর খাঁন। মহিলাদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে- সালেহা কবির শেপী, এডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ, ফাহিমা কুমকুম, ফাতেমা জামান রুজি, রেহানা আক্তার হাসনা, এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন। জেলা মৎস্যজীবী দল নেতা একেএম তারেক কালাম। জাসাস নেতৃবৃন্দর মধ্যে- নিজাম উদ্দিন তরফদার, তাজ উদ্দিন মাসুম, রাসেল আহমদ, মোনাজ্জির হোসেন সুহেল। শ্রমিকদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে- সুরমান আলী, আব্দুর রহমান, আব্দুল আহাদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, এসএম লুৎফুর রহমান। ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলতাফ হোসেন সুমন, সুদীপ জ্যোতি এ্যাষ, জাহাঙ্গীর আলম, রুবেল আহমদ, দেলোয়ার হোসেন দিনার, ফজলে আহসান রাব্বী।