তত্ত্বাবধায়কের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন : জামায়াত
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:২৮:৪৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহনগরী উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র মানতে চায় না তাদের বিরুদ্ধে জামায়াত যুগপৎ আন্দোলন করবে। গণতন্ত্রকে যারা হত্যা করেছে, তাদের সাথে জনগণ নেই। বরং যারা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে চায়, জনগণ এখন তাদের সাথে রয়েছে। তাই জনগণের দাবি মেনে নিন। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিন। তাহলে শান্তি বিরাজ করবে।
মুজিবুর রহমান বলেন, জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম কেয়ারটেকার সরকার ফর্মূলা আবিস্কার করেছেন। আওয়ামী লীগ সেই পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন করেছে। আবার তা হাইজ্যাক করে সেই ফর্মূলাকে নিজেদের দাবি করছে।
তিনি বলেন, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান গত ১০ ডিসেম্বের দশ দফা ঘোষণার পর তাকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়। জামায়াত আমীর সহ সকল দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান অধ্যাপক মুজিবুর।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর চলছে.. কিন্তু, গণতন্ত্র ,ভাতের অধিকার,ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মাঝে মাঝে গণতন্ত্রের দেখা মিললেও এদেশের মানুষ বেশিরভাগ সময় গণতন্ত্রের সুফল পায়নি। এজন্য সরকারকে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।
মুজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, সরকারের কাছে বিক্রিত কিছু মিডিয়া সাম্প্রতিক একটি মিছিলের ফুটেজ দেখিয়ে জামায়াতের একটি কর্মসূচি পালনের সময় বাড়াবাড়ি করছে এমন তথ্য পরিবেশন করছেন যা সত্য নয়। বরং মিছিলে পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী সদস্য হামলা চালিয়েছে। মিছিলের ব্যানার ধরে পুলিশের টানাটানির সমালোচনা করেন তিনি।
জামায়াত আমীর বলেন, আল্লাহর আইন দিয়ে দেশ শাসন করলে শান্তি আসবে। কারণ আল্লাহর আইনে কোনো ভুল নেই। কিন্তু মানুষের তৈরি আইনে ভুল আছে। আমরা দেশের ১৮ কোটি মানুষকে সুখে রাখতে সৎ লোকের শাসন ও আল্লাহর আইন কায়েম করতে চাই। এসময় তিনি কোরআনের একটি আয়াত উদ্বৃত করেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারী ড. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।