করোনায় কাঁপছে চীন
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:১৮:৩৫ অপরাহ্ন
অবসাদ থেকে ঘটছে আত্মহত্যা!
জালালাবাদ রিপোর্ট : সাধারণ জনগনের বিক্ষোভে ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে এসেছে চীন। যদিও নতুন করে করোনায় বিপর্যস্ত দেশটি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আজ শুক্রবারের মধ্যে দিনে গড়ে আক্রান্ত হবেন ৩৭ লক্ষ মানুষ। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা গ্রামাঞ্চলে। সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রবল অভাব। ফলে জুটছে না ন্যূনতম চিকিৎসাও। পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ যে, বহু বর্ষীয়ান নাগরিক সংক্রমণজনিত আতঙ্ক থেকে তৈরি হওয়া অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করছেন!
জনতার চাপে গত ৭ ডিসেম্বরে জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহার করে চীন সরকার। এইসঙ্গে গোটা দেশে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসের নিয়মও তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও অন্যদিকে হুড়মুড় করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অথচ বহু ক্ষেত্রেই আক্রান্তরা টেস্ট পর্যন্ত করাতে চাইছেন না বলে জানা যাচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময় ৭৭ বছরের এক বৃদ্ধা ওয়েং শুয়ে, যিনি কোভিড লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি, তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমি তাও পরীক্ষা করাব না। আমার কোমর যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। অক্সিজেন চলছে। তবু করাব না। সকলেই তো বলছে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে। সুতরাং ধরে নিতেই পারি, আমারও হয়েছে। তাছাড়া গ্রামের যেখানে পরীক্ষা করানো হচ্ছে, সেসব জায়গার পরিবেশ খুবই খারাপ।
রয়টার্স বলছে, অনেকে হাসপাতালেও যাচ্ছেন না। ভয়ংকর অসুস্থতা নিয়ে বাড়িতেই নিজেরে বন্দি করে রাখছেন। পাশাপাশি বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা অবসাদের কবলে পড়ে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে যত সময় যাচ্ছে, ততই চীনের ছবিটা আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই বয়স্ক। শহরে তাঁদের যথাযথ চিকিৎসার আশায় হাসপাতালে নিয়ে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। তার জেরেই হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে কোভিড রোগীদের ভিড়। কাজের চাপ বাড়ছে হাসপাতালের কর্মীদের উপরে। তবে কোভিড সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না চীনের প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ উঠছে।