সপ্তাহজুড়ে মন্দের ভালো পুঁজিবাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:১০:৫৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : নতুন বছর পুঁজিবাজারের শুরু নেতিবাচক প্রবণতায় হলেও চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের চার দিনই ছিল ইতিবাচক। এই সময় লেনদেন বেড়েছে ১৮৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। একই সঙ্গে হাতবদল হওয়া শেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেনে অংশগ্রহণ করা ৫০ শতাংশের বেশি কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ নেই ক্রেতাদের।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বিষয়টিকে মন্দের ভালো মনে করছেন। তবে ফ্লোর প্রাইসের কারণে অতিমূল্যায়িত শেয়ারের দাম কমছে না বলে মনে করছেন অনেকে। ফলে বাজার স্বাভাবিক হতে পারছে না। এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে শর্তসাপেক্ষে ফ্লোর তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি লেনদেন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে চলমান মন্দাবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করে বিএসইসি। কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিদ্যমান ফ্লোর প্রাইস ১০০ শতাংশ প্রত্যাহারের প্রস্তাব আসে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সূচক ও লেনদেন একটা পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করা হবে না। সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। বৈঠকের পরদিন বৃহস্পতিবার লেনদেন বাড়লেও সূচকের পতন ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় গত রোববার লেনদেনের সঙ্গে সব সূচক পয়েন্ট হারালে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে সোমবার বাজার পরিস্থিতি ইতিবাচক হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৩৩৪ কোম্পানির ৭ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫৭২ শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ ৫০৭ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার ২৪১ টাকা, যা আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ছিল ৩১৮ কোটি ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এ হিসেবে বেড়েছে ১৮৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।