মুদ্রানীতি ঘোষণা কাল, নানা চ্যালেঞ্জ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৫৪:০৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : ডলার সংকট, ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ-এ তিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধ্বের জন্য ষাণ¥াসিক (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি আগামীকাল রোববার ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওইদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার-এমন তথ্য উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ১৫ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটায় ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট (এমপিএস)’ প্রকাশ করবেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটা তার প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা। অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নরসহ বিএফআইইউয়ের প্রধান কর্মকর্তা, চিফ ইকোনমিস্ট, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও সহকারী মুখপাত্র উপস্থিত থাকবেন।
সরকারের জাতীয় বাজেট বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ জানিয়ে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বাজারে কী পরিমাণ মুদ্রা সরবরাহ করা হবে তার একটি আগাম ধারণাপত্র দেয়া হয় মুদ্রানীতিতে।
আগে সাধারণত সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মুদ্রানীতি ঘোষণা করতেন। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া শুধু ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হতো। বাংলাদেশ ব্যাংক আগে প্রতি ৬ মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও গত দুই অর্থবছর তা এক বছরের জন্য করা হয়। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুদ্রানীতি অনলাইনের পরিবর্তে সরাসরি ঘোষণা করেন বিদায়ী গভর্নর ফজলে কবির। নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার পর সিদ্ধান্ত হয় আগের মতো আবারো প্রতি ৬ মাস পরপর মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। অবশ্য বছরে দুটি মুদ্রানীতি দেয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ডলারের সংকট চলছে। আবার ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করায় প্রচুর টাকা চলে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। কমেছে টাকার সরবরাহ। ফলে তারল্য সংকটে পড়েছে বেশকিছু ব্যাংক। এ অবস্থায় বাজারে টাকার প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করাও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দুটির সমন্বয় করে কিছুটা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির দিকে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি উৎপাদনশীল খাত বিশেষ করে কৃষিখাতে ঋণ সরবরাহ বাড়াতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে নতুন নীতিতে।