কানাইঘাটে নামকাওয়াস্তে রাস্তার কাজ করালেন কাউন্সিলর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:২৯:১৪ অপরাহ্ন
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
কানাইঘাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টি.আর) কর্মসূচীর আওতায় মহেশপুর খলার মরতুজ আলীর বাড়ির উত্তরের রাস্তা হইতে দক্ষিণ দিকে গ্রামীন পাঞ্জেগানা মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাট প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৫৮ হাজার টাকা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমির উদ্দিন কোন কাজ না করে আত্মসাতের অভিযোগে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়েরের পর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ও দিনের বেলা কয়েকজন শ্রমিক লাগিয়ে নতুন এ মাটির রাস্তায় এক ফুট উঁচু করে ১০/১২ হাজার টাকার মাটির কাজ করান ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমির উদ্দিন। অভিযোগের দায় এড়াতে কাউন্সিলর কর্তৃক নামকাওয়াস্তে কাজ করায় ওয়ার্ডের জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক কানাঘুষা শুরু হয়েছে।
জানা যায়, উক্ত মাটির রাস্তার কাজ না করে গত বছরের জুন মাসে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকল্পের মাটি কাজের ৫৮ হাজার টাকা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমির উদ্দিন উত্তোলন করেন। ওয়ার্ডের লোকজন বিষয়টি জেনে প্রকল্পের কাগজপত্র তুলে গত ২৬ ডিসেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অর্ধশতাধিক লোকজন স্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ দেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পর তদন্ত চলমান থাকা অবস্তায় কাউন্সিলর জমির উদ্দিন গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রকল্পের কাজের স্থলে কিছু মাটির কাজ করান বলে অভিযোগকারী ওয়ার্ডের মহেশপুর গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে শামীম আহমদ, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শাহিন আহমদ সহ অন্যান্যরা জানিয়েছেন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পৌরসভার মেয়র লুৎফুর রহমান তাকে মহেশপুর খলার হাজী মরতুজ আলীর বাড়ির উত্তরের রাস্তা হইতে দক্ষিণ দিকে গ্রামীন পাঞ্জেগানা মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার কাজ করতে বলেছেন। শ্রমিকদের দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী মাটির রাস্তা করা হয়েছে। কোন টাকা তিনি আত্মসাত বা তসরুফ করেননি।