সিলেটে ঠান্ডায় ছন্দপতন
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:০৬:৩৩ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৫.৬, সিলেটে ৮
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে তাপমাত্রা আরো কমেছে। এতে সিলেটের জনজীবনে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ।
মোবাইল ফোনের আবহাওয়া আপডেট ঘেটে দেখা গেছে, শুক্রবার সিলেট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রীতে নেমেছে। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে, শুক্রবার সিলেট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে । যদিও অনেকে বলছেন, শুক্রবার শীতের অনুভূতি ছিলো বেশী।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেটে আরও কিছুদিন তাপমাত্রা এমনই থাকবে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
এর আগে আবহাওয়া অফিস বুধ ও বৃহস্পতিবার সিলেটে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, চলতি মৌসুমে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। যা তিন বছরের মধ্যে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। ২০১৯ সালে সর্বশেষ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছিল।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ মুজিবুর রহমান শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার ভোর ৬টার রেটিং এ এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই বছরে সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত কয়দিন ধরেই এই এলাকার তাপমাত্রা ছিল নিম্নগামী।
এদিকে, ঠান্ডায় সিলেটের জীবনযাত্রায় কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। ঘন ঘন সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটছে। বিশেষ করে রাতের কুয়াশাচ্ছন্ন সড়কে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে। গত কয়েকদিনে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেটের বিভাগীয় দপ্তর।
কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত হচ্ছে। সিলেট নগরের রাজপথ, ফুটপাত, রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল— সবখানেই জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুস্থ ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। ভোরে থেকে ঠান্ডা বাতাসের দাপুটে প্রবাহ বেশ খানিকটা মলিন করে রেখেছে শ্রমজীবীদের। অনেকে আবার ঠান্ডায় জড়োসড়ো হয়েও পড়েছেন। বিছানা ছাড়ছেন অন্যদিনের তুলনায় দেরি করে।
এদিকে, মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে শৈত্যপ্রবাহে হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি এলাকা ও হাওরাঞ্চলের অসহায়, দরিদ্র জনগোষ্ঠী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।