সুরমা খনন কাজ উদ্বোধন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:২৭:২৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : এক সময়ের খরস্রোত সুরমা নাব্যতা হারিয়ে অনেকটাই মৃতপ্রায়। অসংখ্য স্থানে জেগেছে চর। শীতকালে সুরমার বুকে ক্রিকেট-ফুটবল খেলে ছেলেরা। সুরমার এমন অবস্থায় মহাবিপদে সিলেট নগরও। যার প্রমাণ দেখা গেছে গত বর্ষায়। সুরমা ফুলে-ফেপে ডুবে যায় নগর। সেই সুরমার নাব্যতা ফিরিয়ে সিলেট নগরবাসীকে বন্যামুক্ত করতে শুরু হয়েছে খননকাজ।
শনিবার সকালে এ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সিলেটের সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় সুরমা নদীতে এ খনন কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
সিলেট নগরীর কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত প্রথম দফায় প্রায় ১৮ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। নদী খনন করছে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সুরমা নদীর খনন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানুষের দুর্গতি নিরসনে সুরমা নদী খনন শুরু হয়েছে। বন্যার প্লাবন ও নদী ভাঙন রোধে এ পরিকল্পনা কাজে আসবে বলে আমি আশা করি। এছাড়া সুরমা নদীর খনন কাজ বন্যা মোকাবেলা ও ভাঙন রোধে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় সিলেটের আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাউবো সিলেট অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর মে ও জুন মাসে সিলেট নগরীতে ভয়াবহ বন্যা হয়। ওই সময় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সুরমা নদী খনন, শহররক্ষা বাঁধ এবং নদী ও ছড়া-খালের উৎসমুখে স্লুইস গেট নির্মাণের দাবি তোলা হয়। ওই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপিও এ নদী খননে জোর দেন। এর প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুরমা খননে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে।
পাউবো সূত্র জানায়, এর আগে কানাইঘাট থেকে ছাতক পর্যন্ত সুরমা নদী খননের জন্য একটি ডিপিপি জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি আলোর মুখ দেখেনি।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, প্রথম দফার খনন শেষ হলে কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত খনন হলে সুরমার নাব্যতা বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে পানি প্রবাহ। এতে বর্ষায় সিলেট মহানগরে বন্যার আশঙ্কা কমবে। অনেকটাই বিপদমুক্ত হবে সিলেট নগর। আগামী জুন মাসের মধ্যেই খনন সম্পন্ন হওয়ার কথা।