গণতন্ত্রকে হত্যা করে আওয়ামীলীগ পুরনো বাকশালের পথে হাঁটছে : ফখরুল ইসলাম
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:২৪:১৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী দেশের রাজনীতির ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত কালো দিন। ৭৫ সালের এই দিনে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে সকল রাজনৈতিক দলকে বাতিল করে একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুধু তাই নয়, সরকারের আজ্ঞাবহ ৪টি পত্রিকা রেখে সকল পত্রিকা বাতিল করে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতেই আওয়ামীলীগ জঘন্য বাকশাল কায়েম করেছিল। আবারো আওয়ামীলীগ দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে। এখন দেশে ৭৫ এর মতো বিভীষিকাময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সর্বত্র জুলুমতন্ত্র, লুটপাট ও দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। মানুষের ভোটাধিকার নেই, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। আওয়ামী দুঃশাসনে বিধ্বস্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশপ্রেমিক জনতাকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে একটি পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বিরোধী দলের উপর গ্রেফতার জুলুম নির্যাতনের স্টীম রোলার চালানো হচ্ছে। আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। জামায়াতকে শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করার অধিকার দেয়া হচ্ছে না। সব অফিস বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে শহীদ করেই ক্ষান্ত হয়নি, আমীর-সেক্রেটারী জেনারেলসহ সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এভাবে কোন দেশ চলতে পারেনা। জনগণ এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন এবং নিরপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। দেশ ও জাতির কল্যাণে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ ভোটাধিকার সহ সকল নাগরিক অধিকার ফিরে পাবে।
তিনি বুধবার বিকেলে জামায়াত কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে ২৫ জানুয়ারী বাকশাল প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
মহানগর সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব ও ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত, এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, মু. আজিজুল ইসলাম, ক্বারী আলাউদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা লুটপাট, ধর্ষণ, রাহাজানি শুরু করে দেশটাকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিয়ে গিয়েছিল। এমন কোন অপকর্ম ছিল না যা তারা করেনি। বাকশাল কায়েম করে তারা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কলংকজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। আবারো সেই পুরনো বাকশালের পথে হাঁটছে আওয়ামীলীগ। অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শুভবুদ্ধির উদয় না হলে বর্তমান আওয়ামীলীগও ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। আওয়ামী জুলুমবাজ সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্রকামী জনতাকে মুক্ত করতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞপ্তি