কাশিমপুরে ফাঁসির আসামির আত্মহত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:১৩:২০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
ওই কয়েদির নাম নজরুল ইসলাম (৩০)। তিনি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। জেল সুপার আরও জানান, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তাঁকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তার পর থেকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দী ছিলেন। সকালে তাঁকে কারাগারের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে কারারক্ষীরা তাঁকে নামান। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুব্রত কুমার আরও জানান, কারাগারে তাঁর আচরণে মানসিক সমস্যা লক্ষ করা যাচ্ছিল। এজন্য তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
জেল সুপার দাবি করে বলেন, সকালে বিষয়টি কারারক্ষীরা আমাদের কাছে গোপন করে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সর্বপ্রধান কারারক্ষী হামিদ গাজী, সহকারী প্রধান কারারক্ষী ফাইজ উদ্দিন ও কারারক্ষী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।