কুলাউড়ায় বিজিআইসির প্রতিষ্ঠাতা সামাদের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:২৩:২৮ অপরাহ্ন
কুলাউড়া প্রতিনিধি:
কুলাউড়ায় বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিআইসি) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের বীমা শিল্পের অন্যতম পথিকৃত, বিশিষ্ট বীমা ব্যক্তিত্ব ভাষাসৈনিক এম. এ. সামাদের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের আলালপুর এলাকায় তাঁর নিজ বাসভবনে সামাদ-ফওজিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনাসভা, কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক চৌধুরী আবু সাইদ ফুয়াদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ আবু জাফর রাজু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, সাবেক সহসভাপতি নওয়াবজাদা আলী ওয়াজিদ খান বাবু, সামাদ-ফওজিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন সাবরিনা সামাদ ফিরোজী, ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী, জেলা পরিষদের নারী সদস্য শিরিন আক্তার চৌধুরী মুন্নী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি, কুলাউড়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হান্নান ও বিজিআইসির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জান্নাতুল ফেরদৌস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজিআইসির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুস সালাম।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের রিলেশনশীপ অফিসার মো. রাফায়াত কবীর, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক খালেদ পারভেজ বখস, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমানসহ গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।
সভায় বক্তারা তাঁর আদর্শ ও বীমা শিল্পে অবদানের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করে বলেন, বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী এম. এ. সামাদ ১৯৮৫ সালে বেসরকারি খাতের প্রথম নন-লাইফ বীমা কোম্পানি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করে সুনামের সহিত কাজ করে গেছেন। ব্যক্তি হিসেবে তিনি খুবই আন্তরিক ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দোয়া পরিচালনা করেন বিজিআইসি কুলাউড়া শাখার কর্মকর্তা সিপন সারোয়ার। শেষে কেক কেটে এম. এ. সামাদের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, ভাষাসৈনিক এম.এ সামাদ ১৯২৩ সালে কুলাউড়া উপজেলার আলালপুর এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৫ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বি.এ অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। একইসাথে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে তিনি স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০০৫ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি মারা যান।