সিলেটে ৪র্থ ডোজে সাড়া নেই
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১০:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ নিয়ে আগ্রহ নেই মানুষের। ২১ ডিসেম্বর ২০২২ সাল থেকে ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১ মাস ১০ দিনে সিলেট বিভাগে টিকার ৪র্থ ডোজ নিয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৫৬ জন। যা ১ম ডোজ প্রাপ্তদের তুলনায় মাত্র ০.২৯ শতাংশ। এরমধ্যে নগরীতে ২ হাজার ৫২১ জন, সিলেট জেলায় ১৫ হাজার ৩১০ জন, সুনামগঞ্জে ৫ হাজার ১৪২ জন, হবিগঞ্জে ৩ হাজার ২৬৮ জন ও মৌলভীবাজারে ১০ হাজার ৭৩৬ জন ৪র্থ ডোজ নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গেল বছরের ২১ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে ৪র্থ ডোজ নেবার উপযোগী ৪ কোটি মানুষকে ৪র্থ ডোজ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করে সরকার। ৫ ক্যাটাগরিতে অর্থাৎ : (১) ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্বর বয়সী জনগোষ্ঠী। (২) দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী। (৩) স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী। (৪) গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মা ও ৫. সম্মুখসারির যোদ্ধা। এমন মানুষদের দেয়া শুরু হয় ৪র্থ ডোজ। তবে সিলেটে ৪র্থ ডোজ গ্রহণে মানুষের মধ্যে আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। তবে শীঘ্রই ৪র্থ ডোজ পাওয়ার উপযোগীদের টিকা নিতে এসএমএস দেয়া সহ আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগে ২৯ জানুয়ারী পর্যন্ত ৫ বছর থেকে তদুর্ধ্ব ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪১৪ জন করোনা টিকার ১ম ডোজ, ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ৭২৬ জন ২য় ডোজ, ৪৩ লাখ ২৬ হাজার ২০৯ জন ৩য় ডোজ এবং ৩৪ হাজার ৪৫৬ জন ৪র্থ ডোজের টিকা নিয়েছেন।
৪র্থ ডোজের ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, ২১ ডিসেম্বর থেকে করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া শুরু হলেও আমাদের বেশকিছু টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল। কারণ আমরা ৪র্থ ডোজের টিকা দিয়ে সনদ ও কার্ডে সেটা আপডেট দিতে পারি নাই। এমনকি আমরা টিকা নেয়ার জন্য এসএমএসও দিতে পারিনি। ফলে ৪র্থ ডোজের টিকা নিয়ে আগ্রহ কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে। তবে আমাদের টিকার সার্ভার এখন স্বাভাবিক হয়েছে। কার্ড ও সনদ আপডেট নিচ্ছে পাশাপাশি এসএমএসও দেয়া যাচ্ছে। আশা করছি এখন থেকে ৪র্থ ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়বে।