জানুয়ারিতে বিশ্বে খাদ্যশস্যের দাম কমেছে : এফএও
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৯:১০:১২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : জানুয়ারি মাসে বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা (এফএও)। শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ দাবি করে।
সংস্থাটির দাবি, গম, ভোজ্যতেল, দুগ্ধ ও চিনির মূল্য পতনের প্রভাবে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। তবে এ সময়ে চাল ও ভুট্টার দাম বেড়েছে।
২০২৩ সাল সম্পর্কে এফএও বলছে, গম উৎপাদন বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে উত্তর গোলার্ধে শীতকালীন ভালো ফসলের পূর্বাভাস। তবে সংস্থাটি সতর্ক করেছে সারের উচ্চ খরচ ফলনের ব্যয়কে প্রভাবিত করতে পারে।
চিনির দাম যে কারণে কমেছে : এফএও বলছে, চিনির মূল্য জানুয়ারিতে ডিসেম্বরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে, যা আগের দুই মাসে ব্যাপক বৃদ্ধির পর প্রথম পতন হয়েছে। এর জন্য থাইল্যান্ড ও ব্রাজিলে আখের ভালো ফলনকে চিহ্নিত করেছে এফএও, যা আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্যের হ্রাসে অবদান রাখছে। ভারতে আখের ফলনে উদ্বেগ থাকায় চিনি রপ্তানিতে ভারতকে প্রভাবিত করবে। এ ছাড়া ব্রাজিলের টাকা মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হওয়ায় বিশ্ব চিনির দাম নিম্নমুখী রাখতে অবদান রাখবে।
মূলত এফএও প্রতি মাসেই খাদ্য মূল্যসূচক প্রকাশ করে থাকে। এফএওর খাদ্য মূল্যসূচকের জানুয়ারি মাসের গড় মান ছিল ১৩১ দশমিক ২ পয়েন্ট, যা ডিসেম্বরে ছিল ১৩২ দশমিক ২ পয়েন্ট। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের পর সর্বনিম্ন পর্যবেক্ষণ। ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান ১৩২ দশমিক ৪ পয়েন্ট থেকে সংশোধন করে ১৩২ দশমিক ২ পয়েন্ট ঠিক করে সংস্থাটি।
এফএও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম আড়াই শতাংশ কমেছে। কারণ, অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়ায় গমের উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে। বিপরীতে চালের দাম ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। এর পেছনে এশিয়ার দেশগুলোতে রপ্তানির প্রভাব অনেক বেশি কাজ করেছে। পাশাপাশি চীনে ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার থেকে কম হওয়ার প্রভাবও রয়েছে বলে মনে করে জাতিসংঘের খাদ্য দপ্তর।
এ ছাড়া জানুয়ারিতে ভোজ্যতেলের দাম ২ দশমিক ৯ শতাংশ, দুগ্ধজাত খাদ্য ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং মাংসজাত খাদ্যের দাম শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।
খাদ্যশস্যের সরবরাহ ও চাহিদার বিষয়ে এফএও বলছে, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়া ২০২২ সালের সংশোধিত পূর্বাভাসের থেকে বেশি গম উৎপদনের আশা করছে। তবে একই সময়ে বিশ্বে ধান উৎপাদনের পূর্বাভাসটি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। চীনে প্রত্যাশার থেকে কম ধান উৎপাদন হওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে, যা ২০২১ সালের থেকে ২ দশমিক ৬ শতাংশ কম।