অ্যাকশনে নাসির খান : দেড়যুগ পর জেলা পরিষদের ৪ একর জমি উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৭:০২:৩১ অপরাহ্ন
অভিযানে ৭০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় দেড় যুগ পর অবৈধ দখল উচ্ছেদে নেমেছে সিলেট জেলা পরিষদ। অভিযানের প্রথম দিনেই ৪ একর ভ‚মি থেকে ৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। রোববার সকাল থেকে সদর উপজেলার বাদাঘাট সড়ক সংলগ্ন চার একর জায়গায় গড়ে ওঠা আধাপাকা ও টিন শেডের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, প্রায় ১৮ বছর আগে বাদাঘাট বাজার এলাকায় জেলা পরিষদের ৪ একর জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। এরপর একসনা বন্দোবস্তকৃত এসব ভূমি ইজারা গ্রহিতারা আর নবায়ন করেননি। ফলে বেদখলে কেটে যায় দেড় যুগ। সেসব জায়গাতে এতোদিন অনেকে স্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
সম্প্রতি সিলেট জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব অবৈধ দখলদারদের কবলে থাকা ভ‚মি নজরে আসে। ভ‚মি ফেরত পেতে স্থানীয় ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকও হয়। পরে দোকানপাট সরিয়ে নিতে সময় নির্দিষ্ট করে দিয়ে ব্যবসায়ীদের নোটিশও দেওয়া হয়। কিন্তু বিষয়টি অনেকেই আমলে নেননি।
এরপর রোববার সকাল ৯টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে জেলা পরিষদ। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানকালে অনেক ব্যবসায়ীকে দোকান ছেড়ে মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা যায়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ পলাশ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স›দ্বীপ কুমার সিংহ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহমেদ ও সূর্যসেন রায়, সার্ভেয়ার মফিজুর রহমান, সাঁটলিপিকাটার এ কে এম কামরুজ্জামান মাসুম।
অভিযানের বিষয়ে অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, বাদাঘাট বাজার এলাকায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ভূমি একসনা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল। শর্ত অনুসারে, কোনো অবস্থায় ইজারাকৃত ভূমিতে স্থায়ীভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। এসব শর্তাবলী কেউ লঙ্ঘন করলে ইজারা আপনা-আপনি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ইজারা গ্রহীতারা সেই শর্ত ভেঙে স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন। যে কারণে উচ্ছেদ অভিযানে এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত জমিতে স্থাপনা তৈরি করে ভাড়া দেবে জেলা পরিষদ।
তিনি বলেন, প্রচুর জমির মালিকানা থাকা সত্তে¡ও জেলা পরিষদকে একটি মরা বাড়ি করে রাখা হয়েছে। অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে সেসব সম্পদ ফিরিয়ে আনতে অভিযান চলমান থাকবে।