ব্যাংক কর্মকর্তা হত্যায় সিলেটে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৯:০৩:৪৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বহুল আলোচিত প্রণজিত পাল হত্যা মামলায় ১ আসামীকে মৃত্যুদন্ড ও ৪ জন আসামীকে যাবজ্জীবনসহ অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারের ব্যাংক কর্মকর্তা প্রণজিত পাল হত্যা মামলায় সোমবার সকালে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.শাহাদৎ হোসেন প্রামানিক এ রায় প্রদান করেন। রায়ের বিষয়টি দৈনিক জালালাবাদকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পি.পি এডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন রিপন পাল। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বিমল পাল, উত্তম পাল, চিত্ত পাল এবং আশীষ পাল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, একটি শালিস বৈঠকে মধ্যস্থতা করায় ২০১৪ সালের ৩০ জুন রাত ৯টায় মৌলভীবাজার শমশের নগর রোডস্থ চট্টগ্রাম সেনেটারী দোকানের সামনে তার সমগোত্রীয় আসামিরা প্রণজিত পালকে জোরপূর্বক রিকশা থেকে নামিয়ে রিপন পাল ধারালো চাকু দ্বারা তার বাম উরুতে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এসময় অন্যান্য আসামীরা প্রণজিতকে ধরে রাখে। পরবর্তীতে মামলার সাক্ষীরা ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। প্রণজিত পাল অগ্রণী ব্যাংক মৌলভীবাজার চৌমুহনী শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।
এই খুনের ঘটনায় প্রণজিত পালের স্ত্রী কাঞ্চন পাল বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিলেটে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, সোমবার (৬ফেব্রুয়ারি) ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং দীর্ঘ শুনানী শেষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.শাহাদৎ হোসেন প্রামানিক আসামী রিপন পালকে মৃত্যুদন্ড এবং সহযোগী আসামী বিমল পাল, উত্তম পাল, চিত্ত পাল এবং আশীষ পাল গণকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ প্রত্যেক আসামীকে অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্তে দন্ডিত করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামীগণ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পি.পি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যয় বিচার নিশ্চিত হয়েছে। বাদীপক্ষ দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চায়। এদিকে আসামীপক্ষ রায়ে সন্তুষ্ট নয়, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে আসামীপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।