গোটাটিকরে বিসিকের বর্জ্যে ভরাট ড্রেন-সড়ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১০:২৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় বিভিন্ন কারখানার বর্জ্যে ভরাট হয়ে আছে বিসিক এলাকার ড্রেন। ময়লা আবর্জনার স্তুপ ড্রেন উপচে পড়তে যাচ্ছে সড়কে। এসব বর্জ্যের দুর্গন্ধে পুরো শিল্প নগরী একটা ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। শিল্প কারখানাগুলোর অপরিশোধিত তরল বর্জ্যের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন আশপাশ এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, গোটাটিকর বিসিকের ড্রেনে ময়লা আবর্জনা থেকে সৃষ্ট দূষিত পানি বাতাসের সঙ্গে মিশে একদিকে বায়ু দূষণ হচ্ছে। আবার পচা আবর্জনার দুর্গন্ধে উক্ত পথে যাতাযাতকারী সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিসিকের মতো শিল্পনগরীর এমন বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনসাধারণ। তারা বিসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও ড্রেনেজ পরিস্কার রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান।
প্রসঙ্গত গোটাটিকর এলাকার পাশের্^র রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিভাগীয় পাসপোট অফিস, সিলেট শিক্ষা বোর্ড, ভোক্তা অধিকার আঞ্চলিক কার্যালয়, সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাতায়াত করছেন। এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ড্রেনেজ অবস্থার বেহাল দশা মেনে নিতে পারছেন না সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
এ ব্যাপারে বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলিমুল এহসান চৌধুরী দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, বিসিক শিল্প এলাকায় উল্লেখ করার মতো উন্নয়ন হয়নি। ড্রেন নেই, রাস্তা ঠিক নেই। বিদ্যুৎ ঘাটতি, জলাবদ্ধতা ও ড্রেনসহ নানা সমস্যার কারণে অধিকাংশ ব্যবসায়ী লোকসানে আছেন। বিসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনে চললে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এছাড়া বিসিক কর্তপক্ষ আমাদের কাছ থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা নিয়ে গেলেও কাঙ্খিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারেন নি, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিসিক সিলেটের উপ মহাব্যবস্থাপক সুহেল হাওলাদার দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, গোটাটিকর বিসিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ইতোমধ্যে কিছু কাজ হয়েছে। আরো ১৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় উন্নয়ন কাজ হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনের সাথে সংযুক্ত। কিন্তু বিসিকের পাশের্^ সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনেজ নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। কিছু জায়গায় কাজ চলছে আবার কিছু জায়গায় কাজ বন্ধ রয়েছে ফলে বর্জ্যগুলো সেখানে গিয়ে থমকে যাচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। প্রকল্প পাস হলেই কাজ শুরু হবে।