ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীনতায় অতিষ্ঠ গ্রাহক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৯:০০:১৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে বিদ্যুতের নিয়মিত লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহক। পাশাপাশি বিদ্যুতের লাইন মেরামত, সংরক্ষণ ও সংস্কারকাজ চলমান থাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় ঘোষণা দিয়ে ৫ থেকে ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেটের চারটি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ প্রতি মাস বা সপ্তাহে বিদ্যুতের লাইন মেরামত ও সংরক্ষণ কাজ করাচ্ছে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় অতিষ্ঠ গ্রাহক।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজ চলায় সরবরাহ লাইন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ইচ্ছা করে বন্ধ রাখা হচ্ছে না। সংরক্ষণ ও মেরামত কাজ শেষে সংশ্নিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সিলেট জেলায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকাতেই রয়েছেন ৩ লাখের বেশি। শীত মৌসুম শুরুর পর প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা প্রতি এলাকায় লোডশেডিং করা হচ্ছে। বর্তমানে নিয়মিত লোডশেডিংয়ের বাইরে সারাবছরই বিদ্যুতের লাইন মেরামত, সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজ করে আসছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিউবো সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের চারটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে বিভাগ-১-২ এর গ্রাহকরা।
কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, আগামীকাল শনিবার সিলেট মহানগরীর কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুর করিম। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১১ কেভি ফিডারের মেরামত ও সংরক্ষণ কাজ এবং রাইট অফওয়ে বরাবর গাছের শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলার জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। এলাকাগুলো হলো- মাছুদিঘীর পাড়, রামেরদিঘীর পাড়, তালতলা, তেলিহাওড়, শেখঘাট, শুভেচ্ছ আ/এ, পশ্চিম কাজির বাজার, জিতুমিয়া পয়েন্ট ও তার আশেপাশের এলাকা এবং ১১ কেভি জল্লারপাড় ফিডারের আওতাধীন দাড়িয়া পাড়া, জামতলা, খুলিয়াপুলা, জল্লারপাড়, লামাবাজার, সরষপুর গলি, মির্জাজাঙ্গাল, পশ্চিম জিন্দাবাজর (আংশিক)।
একইভাবে বুধ-বৃহস্পতিবার ও আগের সপ্তাহে, এমনকি জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারী মাসে পৃথক সময়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ঘোষণা হয়।
এ বিষয়ে বিতরণ অঞ্চল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির জানান, সিলেটে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১০০ মেগাওয়াট। সরবরাহ ৭০ থেকে ৭২ মেগাওয়াট। সব এলাকায় নিয়মিত কিছু সময় লোডশেডিং করা হয়। তা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজ চলছে।