মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র উপেক্ষা করে উপশহরে মেলা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৯:১৫:৩৩ অপরাহ্ন
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মেলা পরিপত্র উপেক্ষা করে নিয়মবহিভর্‚তভাবে একটি সংগঠনকে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতারা। অথচ চেম্বার কর্তৃপক্ষ একাধিকবার জেলা প্রশাসনে আবেদন করেও মেলা আয়োজনের জন্য মাঠ বরাদ্দ পায়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগরের জেলরোডস্থ চেম্বার ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ। এ সময় চেম্বারের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তাহমিন আহমদ বলেন, শাহজালাল উপশহর আবাসিক এলাকার আই বøক খেলার মাঠে একটি সংগঠনের উদ্যোগে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘মেলা পরিপত্র-২০২২’ অনুযায়ী বিভাগীয় শহরে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের আগে সংশ্লিষ্ট জেলার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বরাবর ৫০০ টাকা ফি জমাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে হয়। এরপর জেলা প্রশাসক চেম্বারের সুপারিশ ও স্থানীয় পুলিশ বিভাগের মতামত নিয়ে মেলা আয়োজনের অনুমতি দেন। কিন্তু উপশহর আই বøকের মাঠে অনুষ্ঠেয় মেলায় আয়োজনে চেম্বারের সুপারিশ নেওয়া হয়নি।
লিখিত বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি অভিযোগ করেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এবং বাংলাদেশ-ভারত বায়ার-সেলার মিট আয়োজনের জন্য সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ কিংবা নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর গত সেপ্টেম্বর মাসে আবেদন করেছিল। পুলিশ প্রশাসন শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে মেলা আয়োজনের ব্যাপারে সম্মতিসূচক মতামত দিলেও জেলা প্রশাসন এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। এরপর আরো তিন দফা জেলা প্রশাসক বরাবরে মাঠ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসক এ মাঠ বরাদ্দ দেননি। এরই মধ্যে একটি সংগঠনকে ঠিকই নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার আই বøক খেলার মাঠে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিলেটে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের এমন অসহযোগিতামূলক আচরণ দুঃখজনক।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, ১৯৬৬ সালে চেম্বার প্রতিষ্ঠার পর ১৪টি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা সফলভাবে সংগঠনটি আয়োজন করেছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে স্থানীয় প্রশাসনের অসহযোগিতা ও শহরে উপযোগী মাঠ বরাদ্দ না পাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
তাহমিন দাবি করেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলেট আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও বাংলাদেশ-ভারত বায়ার-সেলার মিট একসঙ্গে আয়োজন করা গেলে এখানে ভারতের সেভেন সিস্টারের উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যসামগ্রী নিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এতে স্থানীয় উদ্যোক্তারাও তাদের উৎপাদিত পণ্য ভারতীয় আমদানিকারকদের কাছে প্রদর্শন করতে পারবেন। এতে রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার হবে।