সূর্যপৃষ্ঠে সৌরঝড়, টেলি-যোগাযোগ ব্যহতের শঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০৭:৩৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : সম্প্রতি সূর্যপৃষ্ঠের অস্বাভাবিক গতিবিধিতে চিন্তিত হয়ে পড়েছে বিজ্ঞানীরা। নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে, সূর্যের বড় একটি অংশ তার পৃষ্ঠ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যার ফলে সূর্যের উত্তর মেরুতে টর্নডো আকৃতি ঘূর্ণি তৈরি হয়েছে। সহজ কথায় সূর্যের উত্তর মেরুতে তীব্র সৌরঝড় শুরু হয়েছে। এরকম ঝড় আকস্মিক ঘটনা না হলেও এভাবে সূর্যপৃষ্ঠের টুকরো খসে পড়ার নির্দিষ্ট কারণ এখনও সামনে আসেনি।
বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এর ঘটনা ফলে দক্ষিণ আমেরিকায় শক্তিশালী রেডিও ব্ল্যাকআউট তৈরি হতে পারে। এতে ব্যাহত হতে পারে টেলিযোযোগ ব্যবস্থা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
স্পেস ওয়েদার ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যাটেলাইটগুলো ‘এক্স ১’ শ্রেণির সোলার ফ্লেয়ার তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত, সৌর শিখা বা সোলার ফ্লেয়ারের এক্স ওয়ান শ্রেণি হলো সবচেয় শক্তিশালী সৌর শিখা।
মহাকাশ গবেষকরা জানাচ্ছেন, এবারের সৌর শিখার উৎপত্তি ‘এআর৩২১৩’ নামের সৌরকলঙ্ক থেকে। যেটি এখন সূর্যের মাঝামাঝি অবস্থানে পৃথিবীর দিকে মুখ করে আছে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এর ফলে পৃথিবীতে সৌরঝড় হতে পারে। সৌর শিখার ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় কণা পৃথিবীর পরিমণ্ডল ভেদ করে মানুষের ক্ষতি করতে পারে না। তবে বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে জিপিএস এবং যোগাযোগের রেডিও তরঙ্গ প্রবাহিত হয়, আঘাত করে সেখানে। রেডি তরঙ্গকে বাধাগ্রস্ত করে।
পৃথিবীতে প্রথম সৌরঝড় চিহ্নিত করা হয় হয় ১৮৫৯ সালে। প্রায় ১৭ ঘণ্টায় সৌরঝড়টি পৃথিবীতে পৌঁছেছিল। টেলিগ্রাফ নেটওয়ার্কের ক্ষতি করেছিল সে সময়ে। বৈদ্যুতিক শক অনুভূত হয়েছিল বলেও জানিয়েছিলেন অনেক টেলিগ্রাফ অপারেটর।
এরপর ১৯২১ সালে সৌরঝড়েও পৃথিবীর ক্ষতি হয়েছিল। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এর নাম ‘ক্যারিংটন এফেক্ট’। তখন ঝড়ের কবলে পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বিশালাকৃতির চৌম্বকক্ষেত্রে বড় বড় ফাটল ধরেছিল।
ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) দক্ষিণ আমেরিকায় সম্ভাব্য রেডিও ব্ল্যাকআউট সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
এদিকে স্পেস ওয়েদার ডটকম জানিয়েছে, হ্যাম রেডিও অপারেটর, বিমানচালক এবং মেরিনাররা ৩০ মেগাহার্টজের নিচে ফ্রিকোয়েন্সিগুলোতে অস্বাভাবিক প্রচারের প্রভাব লক্ষ্য করতে পারে।