আজ বসন্তের শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০১:২৯ অপরাহ্ন
মুনশী ইকবাল: আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে/এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত এই গান যখন আশপাশ থেকে ভেসে আসছে তখন বুঝতে আর দেরি নেই নতুন কচিপাতার দোলায় দুলছে প্রকৃতি, দুলছে আবেগী মন, এসেছে বসন্ত। নতুন প্রাণে লেগেছে ফাগুনের সতেজ হাওয়া। ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। আজ পহেলা ফাগুন। ফাগুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। শীতের খোলসে ঢুকে থাকা কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া জেগে উঠেছে অলৌকিক স্পর্শে। মৃদুমন্দা বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধে বসন্ত জানিয়ে দিচ্ছে, সত্যি সত্যিই সে ঋতুর রাজা। শীতের রুতা দূরে ঠেলে বসন্ত আসে সুন্দরের বারতা নিয়ে। বসন্তে প্রকৃতি ফুলে ফুলে রাঙিয়ে তুলে চারপাশ। ফাগুনে প্রকৃতিতে লাগে অন্যরকম এক দোলা। রেঁনেসার কবি ফররুখ আহমদের ভাষায় ফাল্গুনে শুরু হয় গুণগুনানি/ ভ্রমরটা গায় গান ঘুমভাঙানী/ একঝাঁক পাখি এসে ঐকতানে/ গান গায় একসাথে ভোর বিহানে।
বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। মিলনের এ ঋতু বাসন্তী রঙে সাজায় মনকে, মানুষকে করে আনমনা। নাগরিক জীবনে বসন্তের আগমন বার্তা নিয়ে আসে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। বসন্ত আমাদের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের রক্ত রঙিন পুষ্পিত রক্তের স্মৃতির ওপর রঙ ছড়ায়। ’৫২ সালের আট ফাল্গুন বা একুশের পলাশরাঙা দিনের সঙ্গে তারুণ্যের সাহসী উচ্ছ্বাস আর বাঁধভাঙা আবেগের জোয়ার যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে।
এদিকে ফাগুনের আগমন হলেও সিলেটের প্রকৃতিতে এখনও রয়েছে শীতের আমেজ। রাতে তাপমাত্রা আগের মতোই ছিল কম। পাখির কলকাকলির সাথে সকাল কুয়াশার চাদরে মোড়া ছিল দীর্ঘক্ষণ। দূর্বাঘাসে শিশিরের চকচকে দ্যোতি ছিল অব্যহত। লোকজনের গা থেকে ভারি পোশাক নামলেও হিম আমেজে কারণে বাড়তি কাপড় ছিল ঠিকই। ফাগুনকে বরণ করতে বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হয়েছে নানান আয়োজন। ফুলের দোকানে ছিল লোকজনের ভিড়।