উন্নয়ন প্রকল্পের দীর্ঘ সূত্রিতা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করুন : সিলেট প্রেসক্লাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১০:৪৯ অপরাহ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা সম্পূর্ণ স্বাধীন। যা পৃথিবীর অনেক দেশে নেই। সাংবাদিকরা সরকারের উন্নয়নের সহযোগী শক্তি। সরকারের কাজের সমালোচনা করতে পারেন। সরকারকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে সাংবাদিকরা সাহায্য করে থাকেন। সরকারের নেওয়া বেশকিছু প্রকল্প দীর্ঘসূত্রিতার কারণে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না। এতে সরকার আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বাড়াতে হবে। যাতে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসে। তিনি সরকারের নেওয়া বিভিন্ন প্রল্পের কাজ দীর্ঘসূত্রিতায় আটকে থাকা এবং প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
গতকাল শুক্রবার ‘সিলেট প্রেসক্লাব-মাহা’ অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহবান জানান। ক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন হাউস মাহার স্বত্ত্বাধিকারী মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম।
স্থানীয় উন্নয়ন নিয়ে ড. মোমেন বলেন, সিলেটের অবকাঠামো অনেকটা দুর্বল ছিল। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিতকে নিয়ে উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করি। সিলেট এয়ারপোর্টের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ দেন। এয়ারপোর্টের উন্নয়নমূলক কাজ অনেকটা এগিয়েছে।
২০১০ সালে আব্দুল মাল আবুল মুহিত বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট বাইপাস সড়কের কাজ শুরু করেছিলেন। আম্বরখানা-টুকের বাজার চার লেন রাস্তার ভিত্তি প্রস্তর অনেক আগে প্রকল্প করা হয়েছিল, তবে এখনও কাজ হয়নি।
সিলেট-ঢাকা রেলওয়ে রাস্তা উন্নয়নে ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেশি দেখিয়ে কাজ শুরু হচ্ছেনা। শীঘ্রই কাজ আরম্ভ করার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি।
তিনি বলেন, ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট-ঢাকা ছয় লেনের রাস্তা নির্মিত হবে। এখন সরকার কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু এর আগে প্রথম অবস্থায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণে সরকার সম্মত হয়নি।
পৃথিবীর একমাত্র দেশ হলো বাংলাদেশ, যারা জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অনেকে আগ্রহ দেখায়। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে গণতন্ত্র দুর্বল রয়েছে। ৭৭ শতাংশ আমেরিকান তাদের দেশের গণতন্ত্র দুর্বল বলে মনে করে। সে দেশে ২০-২৫ শতাংশ লোক ভোট দেয়।
বিএনপির সময় ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভূয়া ভোটার করেছিল। এখন যাতে এ ধরনের কোন কিছু না হয় সে ব্যাপারে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে।
বাংলাদেশের মানুষের আবেগ বেশি। ভোট আসলেই মারামারিও প্রাণহানি হয়। আমি আহবান করবো এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি আহমেদ নূর ও ইকরামুল কবির, সিনিয়র সহসভাপতি এম এ হান্নান, সহসভাপতি আবদুল কাদের তাপাদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বিশ্বাস সমর ও মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ইমজা’র সাবেক সভাপতি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির। অনূষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া কমিটির আহবায়ক আনিস রহমান।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আমজাদ হোসাইন, হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী ও আতাউর রহমান আতা, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. আফতাব উদ্দিন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক কামকামুর রাজ্জাক রুনু, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবির আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ক্লাবের সাবেক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক আহবাব মোস্তাফা খান, ক্লাব সদস্য মো. মুহিবুর রহমান, চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, মো. ফয়ছল আলম, মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, মো. দুলাল হোসেন, নাজমুল কবীর পাভেল, এম এ মতিন, ফয়সাল আমীন, শাহ মো. কয়েছে আহমদ, সুনীল সিংহ, শুয়াইবুল ইসলাম, গোপাল চন্দ্র বর্ধন, নৌসাদ আহমেদ চৌধুরী, মানাউবী সিংহ শুভ, শ্যামানন্দ দাশ, এটিএম তুরাব, শেখ আব্দুল মজিদ, এম রহমান ফারুক, আবুল কালাম কাওছার, দিপক বৈদ্য দিপু, শফিক আহমদ শফি, শাহ শরীফ উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি