সিলেটে সোনিয়া হত্যা : মুখ খুলছে না সজীব, ফের রিমান্ডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৭:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সিলেটি নাটকের অভিনেত্রী ও টিকটকার তরুণী সোনিয়া খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন পরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখনো জানা যায়নি কি কারণে সোনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডেগ্রেফতার হওয়া সোনিয়ার মামাতো ভাই সজীব আহমদও রিমান্ডে মুখ খুলছে না। সে পুলিশী জিজ্ঞসাবাদে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। প্রথম দফায় ৩ দিনের রিমান্ডে নিলেও পুলিশের কাছে সে মুখ না খোলায় সজীবকে আরো দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষ হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রিমান্ডের প্রথম দিন সজীবকে নিয়ে সোনিয়াদের বাড়িতে যায় পুলিশ এবং তার দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে বালতিতে রাখা রক্তমাখা জামা উদ্ধার করে। জামায় দু’জনেরই রক্ত আছে কি না তা পরীক্ষার জন্য পুলিশ জামা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে।
সূত্রটি আরো জানায়, প্রথম দফা রিমান্ডে নেওয়ার পর পুলিশের কাছে সজিব স্বীকারোক্তি দিলেও শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী না দেওয়ায় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরো দুই দিনের রিমান্ডে দেন আদালত। রোববার দ্বিতীয় দফা রিমান্ডের প্রথম দিন। দুই দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার সজিবকে ফের আদালতে তোলা হবে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিলেট নগরের শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকার নীলিমা-১৪ নম্বর বাসা থেকে সোনিয়া আক্তারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার শীতলজুড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে ও দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। সোনিয়া মা ও সৎ বাবার সঙ্গে ওই বাসার ৪র্থ তলায় থাকতেন। পাশাপাশি সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার নাটকে অভিনয় এবং মোবাইলভিত্তিক অ্যাপস টিকটক ও লাইকিতে ভিডিও করতেন। সোনিয়া হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত সজীব আহমদ হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের মো. নুরুদ্দিনের ছেলে।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের আগে সোনিয়াদের বাসায় রাত্রিযাপন করেন তার মামাতো ভাই সজিব। ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে সোনিয়ার সৎ বাবা সেলিম মিয়ার অসুস্থতার কারণে তাকে নিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে চলে যান। পরে দুপুর ১২টার বাসায় ফিরে সোনিয়ার শয়নকক্ষে গিয়ে তার গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। প্রথম থেকেই সোনিয়ার পরিবারের দাবি ছিলো- এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সজিব জড়িত। পুলিশের সন্দেহের তীরও ছিলো সজীবের দিকে। ঘটনার পর তার গা ঢাকা দেওয়ায় সন্দেহ আরো দৃঢ় হয়।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব-৯ ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে র্যাব প্রযুক্তির সহায়তায় সজীবের অবস্থান সনাক্ত করে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।