১২ বছর ধরে সম্মেলন হচ্ছে না যুক্তরাজ্য আ.লীগের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৮:১২:১৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: কোনও সম্মেলন আয়োজন ছাড়াই গত ১২ বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নিয়ে চলছে যুক্তরাজ্যে আওয়ামীলীগের রাজনীতি। সম্মেলন না হওয়ায় নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, সক্রিয়ভাবে দলের দুঃসময়ে বিরোধী দলে থাকাকালে দেশে দলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রকৃত নেতারা সম্মেলন ও নতুন কমিটি না হওয়ায় দলে ঠাঁই পাচ্ছেন না। তবে বর্তমান নেতৃত্ব বলছে, সম্মেলনের বিষয়টি দলের হাইকমান্ডকে জানানো হয়েছে। হাইকমান্ড যখন চাইবে তখন সম্মেলন আয়োজন করা হবে।
যুক্তরাজ্য আ.লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১১ সালের ২৯ জানুয়ারি। ১২ বছর আগে শেষ সম্মেলন হলেও অতীতে কখনও কাউন্সিলরদের ভোটে কমিটি গঠন হয়নি। যুক্তরাজ্যে আ.লীগের বিভিন্ন জোনের অধীনে শাখা কমিটির সংখ্যা ৬২টি।
যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ-সম্পাদক আহমেদ হোসেন চৌধুরী নাজিম আপে প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে হাই স্কুল থেকে রাজনীতি শুরু করে ছেলে-মেয়েরা এখন বড় হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে ১২ বছরে সম্মেলন না হওয়ায় আমি এখনও যুবলীগে রয়ে গেছি। নিয়মিত সম্মেলন হলে নতুন নেতৃত্ব বিকাশের পথ সহজ হয়।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য আ. লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য একাধিক নেতার নাম দলীয় হাইকমান্ডের কাছে নাম জমা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সভাপতি পদে মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জালাল উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দুই বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দীন রিয়াজ, মারুফ চৌধুরী ও হরমুজ আলীর নাম শোনা যাচ্ছে।
বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী বলেছেন, শেষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। সম্মেলন হলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবেন বলেও জানান আহাদ।
দীর্ঘ দিন সম্মেলন না হওয়ার বিষয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেছেন, দলের হাইকমান্ড যখন চাইবে তখন সম্মেলন হবে। ব্রিটিশ এমপি-মন্ত্রী, লর্ডসভা ও ইইউ এমপিদের কাছে আমরা বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা তুলে ধরতে পেরেছি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কোনও রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্য আ. লীগ তিনটি সভা করেছে। এগুলো বর্তমান কমিটির বড় সাফল্য।
যুক্তরাজ্য আ.লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, আমি কোনোদিন কোনও পক্ষ নেইনি, উত্তেজনা সৃষ্টি করতে দেইনি। সম্মেলনের সিদ্বান্ত দলের হাইকমান্ড নেবে। এখানকার নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, সম্মেলন হলে যেনও দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে হয়।