ছাত্রী উত্যক্তের জেরে নর্থ ইস্ট মেডিকেলে ত্রিমূখী সংঘর্ষ : পুলিশের মামলায় ৪ শতাধিক আসামী
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৭:১৭:১৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দুই বিদেশী ছাত্রীকে উত্যক্তের জের ধরে নগরীর দক্ষিণ সুরমার নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকদের ত্রিমূখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে হাসপাতালের অদূরস্থ সুমাইয়া কমপ্লেক্স মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮-১০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী কমিশনার (এসি) মাঈন উদ্দিন খানও রয়েছেন। এসময় নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
এদিকে রোববার রাতের ত্রিমূখী সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারশ’ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. কামরুল হাসান তালুকদার দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের এস আই শাহীন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত তিন থেকে চারশ’ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা নি। ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উপর ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকদের হামলার প্রতিবাদে সোমবার নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, এই সময়ের মধ্যে উত্যক্তকারী যুবক ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। এছাড়াও মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের উত্যক্ত করা স্থায়ীভাবে বন্ধে পুলিশকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজে অধ্যরনরত নেপালিয়ান দুই ছাত্রী ব্যক্তিগত প্রয়োজনে চন্ডিপুলের ফুলকলি মিষ্টির দোকানে যান। দোকান থেকে ফিরে আসার সময় স্থানীয় সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালক তাদের উদ্দেশ্যে অশালীন কথা বলেন এবং উত্যক্ত করেন। ওই অটোরিকশা চালক নর্থ ইস্ট হাসপাতালের পাশ্ববর্তী সুমাইয়া কমপ্লেক্সের নিচ তলার বাদশা টেলিকম নামক ফ্লেক্সিলোডের দোকানের মালিক গুলজার আহমদের আত্মীয়।
উত্যক্তের শিকার ঐ দুই ছাত্রী কলেজে গিয়ে সহপাঠীদের বিষয়টি জানালে কয়েকজন শিক্ষার্থী বাদশা টেলিকমে এসে বিচারপ্রার্থী হন। এসময় দুপক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একজোট হয়ে এসময় স্থানীয় অটোরিকশা চালকরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।