শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ২১ ফেব্রুয়ারী পালিত
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৬:০০:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান অমর একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। শিক্ষার্থীরা প্রভাতফেরিতে অংশ নেয়। জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শিল্পকলা একাডেমিসহ নানা সংগঠন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রক্তদান কর্মসূচি, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে।
একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা এক মিনিটে সিলেট শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটি’র পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। পরে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে একে একে সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ফলে অল্পক্ষণেই ফুলে ফুলে ঢেকে যায় শহীদ মিনার।
একুশের প্রথম প্রহরে সর্বপ্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড। পরে একে একে সিলেট সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়, সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি), সিলেট জেলা প্রশাসন, সিলেট জেলা পুলিশ, সিলেট জেলা সিভিল সার্জন, সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন ও আরআরএফের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহিদ মিনার। এর মাধ্যমে স্মরণ করা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
এদিকে, সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোকে ঘিরে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বিশেষ ইউনিট ‘কুইক রেন্সপন্স টিম (সিআরটি)’-কেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে শহিদ মিনার এলাকায় ও সড়কে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হয়।
এদিকে, এসব কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, ১৯৫২-এর ভাষা শহীদদের রক্তস্রোতের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের গৌরবগাথা। অমর ২১ ফেব্রুয়ারি রক্তের প্লাবনের মধ্য দিয়ে আজ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গৌরবময় আসনে আসীন। শুধু বাঙালি নয়, বিশ্বের প্রতিটি জাতির মাতৃভাষার মর্যাদা, স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও মানুষের মতো বাঁচার দাবির সংগ্রামের দুর্জয় অনুপ্রেরণা ২১ ফেব্রুয়ারি। সেদিনের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলার ঘরে ঘরে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার এক নতুন বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল। আজো সেই চেতনায় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে হবে।