সেদিন কি ঘটেছিলো শাবি’র মুজতবা হলে?
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৯:২২:৪৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে মুজতবা আলী হলে ওইদিন কী ঘটেছিল, সেটা এখনো অনেকটা গোপন রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মুজতবা আলী হলের ১১১ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে র্যাগ দিয়েছিলেন একই বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী। শুধু এক শিক্ষার্থী নয়, নবীন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সে দিন র্যাগ দেওয়া হয়েছিল। র্যাগের শিকার নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক শিক্ষার্থী ভয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। পরে বাড়ি থেকে বিষয়টি মুঠোফোনের ক্ষুদে বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধানকে অবহিত করেন। ওই শিক্ষার্থী ওইদিন রাতের ঘটনাকে তার ‘জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ রাত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ওই শিক্ষার্থী খুদে বার্তায় লিখেছেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি মুজতবা আলী হলে ওঠেন তিনি। ২০ ফেব্রæয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিভাগের ইমিডিয়েট সিনিয়র (দ্বিতীয় বর্ষের শির্ক্ষার্থীরা) নবীন শিক্ষার্থীদের হলের ১১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। প্রথমে তিনি ওই কক্ষে না গেলে পরে তার বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান। ওই কক্ষে বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থী আসিকসহ ১০ থেকে ১৫ জন ছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। ওই কক্ষে নিয়ে যাওয়ার পর সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে আপত্তিকর দৃশ্যে অভিনয় করতে বাধ্য করেন। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী অস্বীকৃতি জানালে নির্যাতনেরও হুমকি দেওয়া হয়।
এর আগে র্যাগের ঘটনা তদন্তে বুধবার বিকেলে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করেছে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. খায়রুল ইসলামকে প্রধান করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মাজহারুল হাসান মজুমদার, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট আবু সায়েদ আরফিন খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মনিরুজ্জামান খান ও সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান।
তদন্ত কমিটির সদস্য ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মাজহারুল হাসান মজুমদার বলেন, তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। আমরা সময়মতো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো। বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে কথা বলা হবে।