নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০০:৪৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না নিত্যপণ্যের বাজার। চাল, ডালসহ দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যের। এতে নাভিশ্বাস উঠে গেছে সীমিত বা নিম্নআয়ের মানুষের। নির্দিষ্ট আয়ে সংসার চালাতে সবাইকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে ডাবল সেঞ্চুরীর পথে অর্থাৎ ২০০ টাকা ছুইছুই কাচামরিচের কেজি। সিলেটে গত সপ্তাহে ১২০-১৪০ টাকা কেজির কাচামরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
শুক্রবার নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, রিকাবী বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কম বেশি সব পণ্যের দাম। বিশেষ করে, প্রতি কেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। শীত শেষ হওয়ায় মৌসুমি সবজিও বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া-পাঙাশের মতো চাষের মাছের কেজিও ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম এখন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। গরুর মাংসের দাম বেড়ে বাজারভেদে ৭২০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আম্বরখানার চাল বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু মোটা চালের দাম পাইকারী দেড় থেকে দুই টাকা বেড়েছে। আগে যে পাইজাম চাল প্রতি কেজি ৫৪ টাকা বিক্রি হতো তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা দরে। বাজারে অনেকের কাছে গুটি স্বর্ণা চাল নেই। মোটা জাতের ওই চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। তবে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে বলে শুনেছি।
এছাড়াও বাজারে প্রায় মাসখানেক ধরে অস্থির ব্রয়লার ও ডিমের দাম বেড়ে যাচ্ছে দফায় দফায়। বর্তমানে ২৪০ টাকা কেজির এসব মুরগির দাম সপ্তাহ খানেক আগে ছিলো ২২০ টাকা। আর এক মাস আগে বিক্রি হতো ১৬০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে ডিমের দাম মাসের ব্যবধানে হালিতে প্রায় ১৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা।
এদিকে শীত শেষ হতেই ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে শীতের সবজির দাম। আর গ্রীষ্মের যে নতুন সবজি বাজারে এসেছে তাতে হাত দেওয়ার জো নেই। প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি হালি লেবু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তাছাড়া বাজারে পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও কমেনি আদা-রসুনের দাম। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৪০-২৮০ টাকা ও রসুন ১৬০-২২০ টাকা দরে।