শাল্লায় বাঁধের কাজে গা-ছাড়া ভাব
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৮:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন
শাল্লা প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লায় অনেকটা গা-ছাড়া ভাবেই চলছে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ। নির্ধারিত সময়ের আর মাত্র দু’দিন বাকি-অথচ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজারে শেষ হয়নি মাটি ভরাটের কাজ। উপজেলার কালিকোটা হাওরে অরক্ষিত হাওয়ার খাল নামক ক্লোজার। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন প্রক্রিয়া যথাসময়ে ও সময়মতো বরাদ্দ না পাওয়ায় ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবেনা বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা।
পাউবো অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী শাল্লা উপজেলার ৬ টি হাওরে বোরো ফসল রক্ষায় অতিতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে জেলার সর্বোচ্চ প্রকল্প হাতে নিয়েছে পাউবো। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে মোট ১৯৭টি পিআইসি গঠন করা হয়েছে। ১০৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বাঁধ নির্মাণ ও ভাঙ্গা বন্ধকরণের জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরে গেল বছর থেকে প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ। প্রকল্প বেড়েছে গত বছর থেকে ৬৯টি।
রোববার সরজমিনে উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে কালিকোটা উপ-প্রকল্পের আওতাধীন ১২২, ১২১, ১২০, ১১১, ১১০, ১০৯, ১০৮ ও ১০৭ নং প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, এখনো অনেক বাঁধে মাটি ভরাটের কাজ চলমান। এ সময়ে বাঁধে দুরমুজ, ড্রেসিং, ঘাস লাগানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার কথা সেখানে চলছে মাটি ভরাট।
১০৮ নং প্রকল্প কালিকোটা হাওরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজার। এ বাঁধে মাত্র ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দুরমুজ, ড্রেসিং, স্লোপ, ঘাস, জিওটেক্সটাইলের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ কখন করবে তা নিয়ে কৃষকদের মনে প্রশ্ন। এ বিষয়ে পিআইসি সভাপতি শেখ জাকির বলেন, ২৮ তারিখের মধ্যেই মাটি ভরাট শেষ করতে পারবো মেশিন যদি নষ্ট না হয়। বাকি কাজগুলো আস্তে আস্তে শেষ করবো।
এ বিষয়ে আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, শুরুর দিকে কাজের গতি একটু কম হলেও পরে ভালোই হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শেষ করতে পারবে পিআইসিরা।
এ ব্যাপারে পাউবোর উপজেলা শাখা কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লোজার তাই প্রথম স্তরে মাটি ফেলা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় স্তরের মাটি ফেলা হচ্ছে। আমাদের টিম সার্বক্ষনিক মাঠে তদারকিতে আছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শেষ হবে।
সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারি বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।